কলকাতা, 23 অগস্ট:এবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তুলে ধরল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইডি'র তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্স সংস্থার সিইও বা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, 2012 সালের এপ্রিল থেকে 2014 সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই সংস্থার পদ সামলেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর ইডি'র এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টুইটার পোস্টকে রি-টুইট করে শুভেন্দুকে পালটা আক্রমণ করেছেন অভিষেক ৷ সেই সঙ্গে, ইডি-কে চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক লিখেছেন, "আমি কি জিজ্ঞাসা করতে পারি আপনি (শুভেন্দু অধিকারী) কখন তদন্তকারী সংস্থার অফিসে যাচ্ছেন ? ইডি এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমার খোলা চ্যালেঞ্জ, নারদা কাণ্ডে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৷" এখানেই শেষ নয়, নারদা কাণ্ডে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিষেক লিখেছেন, "ভিডিয়োটি দেওয়া হল যাতে, এই চাক্ষুষ প্রমাণ আপনার অন্তর্নিহিত নির্লজ্জতার একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হিসাবে কাজ করে।"
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, গত 2021 সাল থেকে 2022 সালের অগস্ট মাসে ইডি-এর তরফে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতেও নিয়েছে ইডি। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাঁর তথ্য বয়ান রেকর্ড করার পর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিজিটাল নথিপত্র সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এদিন, ইডির তরফ থেকে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু ছিলেন মেসার্স লিপস অ্যান্ড বাউন্স-এর চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন। কোটি কোটি টাকা কালো থেকে সাদা করা হয়েছিল এই কোম্পানির মাধ্যমেই ৷
আরও পড়ুন: মিজোরামের দুর্ঘটনার দায় রেল অস্বীকার করতে পারে না, তোপ মমতার
এর আগে এই সংস্থার বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর গোয়েন্দারা। মূলত তদন্তকারীদের দাবি এই দুর্নীতির গোটা জাল বিস্তার করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটিকে সামনে রেখেই এমনটাই দাবি ইডি-র। বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, ইডি এর আগে তদন্তে অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করেছে ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চারটি পৃথক অভিযোগও দায়ের হয়েছে ৷ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতের পিএমএল-এ মামলাও দায়ের হয়েছে ৷ এর আগে, ইডি এই মামলায় তিনটি অস্থায়ী সংযুক্তির আদেশ জারি করেছিল। মোট টাকা দাঁড়িয়েছে এখনও পর্যন্ত 126 কোটি। একই সঙ্গে, ইডি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, একাধিক বিধায়ক এবং কেলেঙ্কারিতে জড়িত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে ৷