দুবাইয়ের আন্ডার ওয়াটার জু’র মজা কলকাতায় কলকাতা, 21 নভেম্বর: মাথার উপরে, ডায়ে-বাঁয়ে যেদিকেই তাকানো যাক না কেন, শুধুই জল ৷ আর সেই জলে ভেসে বেরাচ্ছে অসংখ্য ছোট-বড় নানান প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ও জীব ৷ খাস কলকাতায় এমনই আন্ডার ওয়াটার অ্যাকোরিয়াম ৷ তবে, আন্ডার ওয়াটার নয়, বলা ভালো টানেল অ্যাকোরিয়াম তৈরি হয়েছে পার্ক সার্কাস ময়দানের একটি বিরাট অংশ জুড়ে ৷
অনেকটা দুবাই মলের নিচে অবস্থিত 'দুবাই অ্যাকোরিয়াম এবং আন্ডার ওয়াটার জু'-এর ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে পার্ক সার্কাসের এই টানেল অ্যাকোরিয়ামটি ৷ দেখলে মনে হবে, জলের অনেক নিচে সুড়ঙ্গ করা হয়েছে ৷ আর যার ভিতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন আপনি ৷ কিন্তু, আসলে তা নয় ৷ সেখানে বসানো হয়েছে বড় বড় জলের ট্যাংক ৷ আর এই ট্যাংকের মধ্যে ভাসছে রঙিন মাছ ৷ আর এই অভিনব অ্যাকোরিয়াম দেখে বিস্ময় ফুটে উঠছে ছোট থেকে বড় সকলের চোখেমুখে ৷ প্রাথমিকভাবে 27 নভেম্বর পর্যন্ত এই পোর্টেবল টানেল অ্যাকোরিয়াম থাকছে ৷ যদি, দর্শকদের সংখ্যা বাড়ে, তাহলে এটি আরও একমাস রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷
অতল সমুদ্রের গভীরে কত রহস্য লুকিয়ে আছে, তা গবেষকরা এখনও আবিষ্কার করে উঠতে পারেনি ৷ আর সেই জল মাথার উপরে ৷ সেই নীল জলের মধ্যে সব কিছুই দৃশ্যমান ৷ এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে ? তাই এই বিশেষ শো ছোট থেকে বড় সকলের মন জয় করেছে ৷
পার্ক সার্কাসের উদ্দীপনি ক্লাবের উদ্যোগে এই বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে ৷ ক্লাবের সভাপতি গৌরব বাড়ি ধাওয়ান জানান, দুবাই বা সিঙ্গাপুরে এই ধরনের অ্যাকোরিয়াম দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, পার্ক সার্কাস ময়দানে এমন কিছু করা যায় কি না ? তখন থেকেই তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে কাজ শুরু করেন ৷ জানতে পারেন, কেরলের নীল এন্টারটেনমেন্ট নামক একটি বেসরকারি সংস্থা এই ধরনের শো করে ৷ তবে, কেরলের কাছাকছি বলতে শোটি মূলত হায়দরাবাদে হয়ে থাকে ৷ তাদের সঙ্গে বারে বারে কথা বলে, রাজি করানো হয় কলকাতায় আসার জন্য ৷
আয়োজকরা আরও জানিয়েছেন, টানা তিন মাস ধরে চলেছিল প্রস্তুতি পর্ব ৷ ব্যয় হয়েছে বিপুল অর্থ ৷ পুরো শোটিকে প্রস্তুত করার পিছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম ৷ যেহেতু পার্ক সার্কাস উদ্দীপনি ক্লাবের দুর্গোৎসব বেশ জনপ্রিয়, তাই উদ্যোক্তাদের ইচ্ছে ছিল যে পুজোর সময়ই যাতে এই শোটি শুরু করা যায় ৷ তবে, বেশ কিছু কারণবশত কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে এই শোটি শুরু করা যায়নি ৷ প্রায় 25 দিনের মতো পিছিয়ে যায় এটি ৷
টানেলের মধ্য দিয়ে হেঁটে গেলে এক মুহূর্তের জন্য মনে হতেই পারে, যেন সমুদ্রের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন আপনি ৷ তিন দিকে দেখা যাবে জল ও মাছ ৷ নীল এন্টারটেনমেন্ট এই পোর্টেবল টানেল অ্যাকোরিয়ামের পেটেন্টও রয়েছে ৷
আরও পড়ুন:
- পার্ক-দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বেসরকারি সংস্থাকেই সংস্কারের দায়িত্ব, বিতর্কে বারাসত পৌরসভা!
- দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ফের স্নো লেপার্ডের জন্ম, উচ্ছ্বসিত বনমন্ত্রী
- পুজোর আগেই রাজ্যে উদ্বোধন অর্কিড গার্ডেনের, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা
