শিলিগুড়ি, 26 ডিসেম্বর : ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকেই রাজ্যপাল বানিয়ে দিন !’’ শিক্ষামন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার মন্তব্যে প্রথমবার প্রকাশ্যে নিজের মত প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এ নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেন তিনি (Jagdeep Dhankhar on Chancellor Change Issue) ৷ যেখানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আইন ভাঙার অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল ৷ তাঁর অনুমোদন ছাড়াই 18 জন উপাচার্যকে নিয়োগ এবং পুনর্বহাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধনকড় ৷
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ যার পরেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে ধনকড়ের ভূমিকার পাল্টা সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ যেখানে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীকে সেই পদে বসানোর কথা বলেন তিনি ৷ এই পরিবর্তন করা যায় কি না, তা দেখতে সংবিধান খতিয়ে দেখার কথাও বলেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ তাঁর সেই বক্তব্যের নিন্দায় সরব হলেন খোদ আচার্যই ৷ অভিযোগ করলেন, রাজ্য সরকার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে স্বেচ্ছাচার করছে ৷ তাঁর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছে না ৷
আরও পড়ুন : Bratya on Mamata Banerjee as Chancellor : রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য করার ভাবনা, জানালেন ব্রাত্য
যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল বলেন, ‘‘ওনাকে (মুখ্যমন্ত্রী) আচার্য বানানোর কথা বলছেন ৷ আপনি এক কাজ করুন ৷ ওনাকে রাজ্যপাল করে দিন (Let Chief Minister be Made Governor) ৷’’ এ দিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের একবার অনিয়মের অভিযোগ করেন রাজ্যপাল ৷ যেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের সময় বাড়ানো নিয়ে সরাসরি ক্ষোভপ্রকাশ করেন ধনকড় ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘কোনওরকম কমিটি না গঠন করে, এমনকি আচার্য হিসেবে তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও করেনি শিক্ষা দফতর ৷ উপরন্ত 4 বছরের জন্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷’’
আচার্য নয়, রাজ্যপাল করে দেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রীকে, শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ ধনকড়ের পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ আর তা না করলে, সংবিধানের রক্ষক হিসেবে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ এ দিন হাওড়া পৌরনিগম সংশোধনী বিল পাশ করা নিয়েও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন জগদীপ ধনকড় ৷ অভিযোগ করেন, বিলে অনুমোদন নিয়ে সরকার তাঁর মুখে নিজেদের কথা বসিয়ে দিচ্ছে ৷