কলকাতা, 31 মার্চ : কোরোনার জেরে বন্ধ রক্তদান শিবির । রাজ্যজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে রক্তের সংকট । সরকারি এবং বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের মজুত কমছে । সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা । বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোফিলিয়া রোগীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ । রীতিমতো বরফ পাত্র হাতে নিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে ছুটছে রোগী পরিবার । রক্তের সংকটে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও । এই পরিস্থিতিতেও রক্তদান শিবিরেরই পরামর্শ দিলেন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা ।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত রক্তের পরিমাণ কার্যত তলানিতে । এমনিতেই গরম পড়লে রক্তের চাহিদা বাড়ে । চলতি বছরে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে কোরোনা সংক্রমণের জেরে । উদ্বিগ্ন রাজ্যের চিকিৎসক থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ । থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্তের চাহিদা থাকে । ক্যানসার, হিমোফেলিয়া-সহ নানা রোগের সঙ্গে পুড়ে যাওয়া বা বড় দুর্ঘটনায় জখমদেরও পর্যাপ্ত রক্ত লাগে । প্রসূতি ও অস্ত্রোপচারের সময় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে রক্ত মজুত রাখতে হয় । কারণ রক্তের অভাবে যেকোনও মুহূর্তে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । তাই রক্তদানই একমাত্র উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা ।
চিকিৎসক কুনাল সরকারের কথায়, একসময় গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্য তথা কলকাতা রক্তদানে অনেকটাই এগিয়েছিল । সর্বোচ্চ মাত্রায় রক্তদান হত এরাজ্যে । কিন্তু এখন মানুষ বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না । ইচ্ছে থাকলেও রক্তদান শিবির করা যাচ্ছে না । বেশি জমায়েত করা যাবে না । তাই পাড়ায় পাড়ায় সীমিত সংখ্যায় সমবেত হয়ে রক্ত দান করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি । এলাকার ক্লাবগুলিকে এব্যাপারে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন । ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাই সবরকম সাহায্য করবেন । কুণাল সরকারের কথায়, থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত দেওয়া যাবে না । অসংখ্য রোগীর রক্তের অভাবে মারা যাবে । এই দুর্যোগ কাটিয়ে ফেলতেই হবে ।