কলকাতা, 13 মার্চ: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ৷ সাগরদিঘির জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস এবং বাম নেতৃত্ব আশার আলো দেখতে শুরু করেছে ৷ কারণ, হিসাবে একাধিক যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে ৷ যেমন, ভাঙড়ের সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী 42 দিন জেলেবন্দি থাকা ৷ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা, গরু-পাচারের মতো একাধিক অভিযোগ ৷ আর এই সব নিয়ে রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে ৷ তাই তৃণমূলের বিকল্প বাম-কংগ্রেস, এমনটাই দাবি উভয়পক্ষের ৷
কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃণমূলকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করেছেন ৷ আর তাঁর এই মন্তব্যের কারণ গত একসপ্তাহের মধ্যে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার বদল করা ৷ অধীর বলেন, ‘‘একটা বিধানসভা সিট হারিয়ে পাগল হয়ে গেছে ৷ এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার এসপি বদল হল ৷ কতজনের মাথা কাটা যাবে জানি না ৷ রাজ্যের মানুষ বুঝে গেছে তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করে অন্য কিছু করা দরকার ৷’’ আর বিজেপি প্রসঙ্গে অধীরের মত, মানুষ অন্যকিছু ভেবে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল ৷ কিন্তু, আদতে দু’জনেই এক ৷ তাই আগামী দিনে বাংলার মানুষ বাম-কংগ্রেস জোটকেই বেছে নেবে ৷
শুধু অধীর চৌধুরীর এমনটা দাবি নয় ৷ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ একাধিক বাম নেতা ইদানিং বলতে শুরু করেছেন 'হওয়া ঘুরছে' ৷ সেলিম দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষ জাগছে ৷ এমনকি 'চোর তাড়াও গ্রাম বাঁচাও' স্লোগান তুলেছিল সিপিএম এর কর্মী-সমর্থকরা ৷ সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করে গ্রামবাংলায় প্রচারও চালিয়েছে বামেরা ৷ এমনকি তাতে সাড়া পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি বলেন, ‘‘মানুষ এই আপদমস্তক দুর্নীতিতে জড়িত সরকারের থেকে নিস্তার চাইছে ৷ মানুষ কর্মসংস্থান চায় ৷ কিন্তু, এই সরকারের তা দেওয়ার ক্ষমতা নেই ৷’’