স্থগিতাদেশ নিয়ে আইনজীবীদের মতামত কলকাতা, 17 এপ্রিল:"নিম্ন আদালতের রায়ে উচ্চতর আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়া কোনও নতুন বিষয় নয় ৷ এমন হামেশাই ঘটে ৷ তাতে সংশ্লিষ্ট মামলার যাবতীয় প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় না ৷ এক্ষেত্রে পরবর্তী শুনানিতে আদালত কী রায় দেয়, সেটার জন্যই অপেক্ষা করতে হবে ৷" কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞসাবাদ প্রসঙ্গে রুজু হওয়া মামলায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে আইনজ্ঞমহল ৷
উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষের চিঠি ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, এ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার ৷ প্রয়োজনে কুন্তল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশিকার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷
এ নিয়ে আইনজ্ঞমহল কী ভাবছে, তা জানতে আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী এবং আইনজীবী আলি আহসান আলমগীরের মুখোমুখি হয়েছিল ইটিভি ভারত ৷ তাঁরা প্রথমেই জানান, আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয় ৷ তাছাড়া, তাঁদের কারও কাছেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পূর্ণ বয়ান নেই ৷ তাই সরাসরি এই বিষয়ে কিছু বলা অনুচিত ৷ তবে, একটা বিষয় ঠিক যে সুপ্রিম কোর্ট এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে ৷ এমন ঘটনা বিরল নয় ৷ মাঝেমধ্যেই এমনটা ঘটে ৷ নিম্ন আদালতের বিভিন্ন নির্দেশ ও রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে পারে উচ্চতর আদালত ৷ এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ, সাময়িক স্বস্তি অভিষেকের
আইনজীবীরা বলছেন, আগামী 24 এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে ৷ ওই দিন শীর্ষ আদালত কোনও রায় বা নির্দেশিকা দেয় কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই, এদিনের স্থগিতাদেশের অর্থ এমনটা নয় যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেবে ৷ তারা তাদের মতোই কাজ করে যাবে ৷ তাছাড়া, এই স্থগিতাদেশ সাময়িক ৷ পরে তা প্রত্য়াহার করে নেওয়া হতে পারে ৷ আবার তার মেয়াদও বাড়ানো যেতে পারে ৷ তাই স্থগিতাদেশ হয়েছে মানেই কোনও এক পক্ষ আইনি লড়াইয়ে জিতে গেল, বা লড়াই শেষ হয়ে গেল এমনটা নয় ৷