কলকাতা, 16 নভেম্বর: থানায় জেরার মাঝেই মৃত্যু হল ব্যবসায়ীর ৷ বুধবার সন্ধ্যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের একজন অতিরিক্ত নগরপাল পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক ৷
এছাড়া ওই ঘটনার সময় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ-সহ যে ক'জন পুলিশকর্মী থানায় উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজার ৷ তাঁদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করবেন পুলিশ কর্তারা ৷
সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীকে চুরির ঘটনায় ডেকে পাঠানো হয় ৷ সেই বিষয়ে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল ৷ কিন্তু থানাতেই তাঁর রহস্য মৃত্যু হয় ৷ ওই ব্যবসায়ী অশোক কুমার সাউ বেনিয়াটোলা লেনের বাসিন্দা ৷ ব্যবসায়ী সমিতি থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, থানায় ভিতরে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ এই ঘটনায় যখন উত্তপ্ত কলেজস্ট্রিট চত্বর এবং দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করছে স্থানীয় বাসিন্দারা সেই সময় বড় পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের ৷
বেনিয়াটোলা লেনের বাসিন্দা মৃত অশোক কুমার সাউ যে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছিলেন, সেটি চুরির মোবাইল ফোন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, 200 টাকা দিয়ে সেই ফোনটি কিনেছিলেন অশোক ৷ তাই বুধবার বিকেলে 5 টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের মনিটরিং সেল থেকে তাঁর কাছে ফোন যায় ৷ বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনটি যেন তিনি আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় জমা দেন ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, বিকেল 5 টা 43 মিনিটে থানায় ঢোকেন অশোক ৷ 5 টা 48 মিনিটে থানার বাইরে বেরিয়ে কাউকে ফোন করেন তিনি ৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এরপর সন্ধ্যা 6 টা 5মিনিটে ফের থানায় একজন পুলিশকর্মীর সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেন অশোক ৷ এরপর সন্ধ্যা 6টা 8 মিনিটে থানার এক ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে ফের থানায় ঢোকেন অশোক ৷ তারপরই সন্ধ্যা 6টা 10 মিনিটে ডিউটি অফিসারের ঘর থেকে অসুস্থ অবস্থায় বের করা হয় অশোককে ৷ ঘরের মধ্যে এমন কী হল, যাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, সেই তথ্য এখনও জানা যায়নি ।