কলকাতা, 27 অগস্ট: কলকাতায় নির্মাণ কাজ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কংক্রিট বর্জ্য। পরিবেশ আদালতের চাপে সেই বর্জ্য যথেচ্ছ ফেলা বা ব্যবহারে লাগাম দিতে বৈজ্ঞানিক উপায় পুনর্ব্যবহার যোগ্য করার পদক্ষেপ নেয় কলকাতা পৌরনিগম। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজারহাটে তৈরি হয় একটি কারখানা। এই প্রকল্প অনুসারে 10 বছরের জন্য ওই সংস্থাকে কলকাতা কর্পোরেশন 50 কোটি টাকা দেবে। কিন্তু কারখানার কাঁচামাল হিসাবে নির্মাণ বর্জ্যই প্রয়োজন মত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মাত্র চার মাসের মাথায় ধাক্কা খেয়েছে এই প্রকল্প। কাঁচা মালের অভাবে প্রায় বন্ধ হতে বসেছে এই প্রকল্প।
কিন্তু বিপুল পরিমাণ কংক্রিট বর্জ্য যাচ্ছে কোথায়? দেখা গিয়েছে, এই বর্জ্য মূলত জলা জমি ভরাট করতেই ব্যবহার করা হয়। এই প্রেক্ষিতে পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "নির্মাণ বর্জ্য পাঠানোর জন্য কলকাতা কর্পোরেশনের পাশাপাশি, মিউনিসিপালিটি, কেএমডিএ- কে অনুরোধ করা হয়েছে। কলকাতার বাইরে বিশেষ করে দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার পথে নির্মাণ বর্জ্য ভর্তি গাড়ি দেখলেই সেটা আটকাতে অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশকে।"
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এমন বার্তাতে উঠেছে প্রশ্ন ৷ তাহলে কি নির্মাণ বর্জ্য পাচার করার পিছনে কোনও অসাধু চক্র কাজ করছে? তবে তার উত্তর এখন অধরা ৷ নির্মাণ বর্জ্যে ব্যাপক বায়ু দূষণ হচ্ছে কলকাতায়। তার জন্য কোনও নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মানতে বলা হয়েছে ভাঙার কাজে যুক্ত ঠিকাদার বা কর্মীদের। পাশাপশি নির্মাণ বর্জ্য দেওয়ার জন্য কর্পোরেশন বিল্ডিং বিভাগকে বলা হয়েছে, বহুতলের নকশা অনুমোদনের সময় নির্মাণ বর্জ্যের জন্য অতিরিক্ত টাকা নিয়ে নিতে। সেই নির্মাণ বর্জ্য বাধ্যতামূলক ভাবেই দিতে হবে কলকাতা কর্পোরেশনকে