কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: এবার কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক বসতে চলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শনিবার দুপুর 3 টের সময় তৃণমূল মুখপাত্রের একটি অফিসে বসবে এই বৈঠক ৷ প্রথমে বৈঠকের দিন 22 তারিখ ধার্য হলেও পরে দিন পরিবর্তন হয়ে 23 তারিখ হয় ৷
চাকরি হয়েও তাদের হাতে মিলছে না নিয়োগপত্র। তাই মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে ধরনারত কর্ম ও শরীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীরা। মোট পাঁচবার ধরনায় বসলেন 2016 সালের চাকরিপ্রার্থীরা। গত বুধবার তাঁরা উপস্থিত হন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এখানে বিচারপতির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের মুখে সমস্যার কথা শুনে চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের অন্য এক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অধীনে। ওই মামলায় বিচারপতি বসুর একটি নির্দেশের কারণে এখনও ফয়সলা হয়নি। আদালতে তাঁদের হয়ে যে সমস্ত আইনজীবী লড়ছেন এ বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।"
এই ঘটনার পরেই তাঁরা উপস্থিত হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়িতে। তিনি বলেন, " যখন চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিল, তখন আমি ভেবেছিলাম, একটা ফরমুলা বলে দেবেন। যিনি চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে এত এত কথা বললেন, চোখের জল ফেললেন, একটি ফরমুলা বলতে পারলেন না। যে নিজেও এক সময় পুরো এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমি চ্যালেঞ্জ করছি বিকাশ ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারীকে, তাঁরা এত কিছু বলছেন, চাকরিপ্রার্থীদের বরং এটা বলে দিন না কোন ফরমুলায় গেলে চাকরি হবে।" এরপরেই তৃণমূলের মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্যই চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চ ব্যবহার করছেন বিরোধীরা ৷
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থীদের সাত প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বিকাশ ভবনের বিভিন্ন আধিকারিকরা। প্রায় দু'ঘণ্টার কাছাকাছি বৈঠক চললেও নিয়োগ নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছে তা কাটেনি ৷ আগামী বছর পয়লা ফেব্রুয়ারি ফের বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে ৷