কলকাতা, 26 এপ্রিল:গরুপাচার মামলায় আগেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ৷ এই মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ৷ তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে বুধবার তাঁকেও গ্রেফতার করেছে ইডি ৷ এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, আইন আইনের পথে চলবে বলে জানালেও এই গ্রেফতারির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন জানিয়েছেন, আইন আইনের পথে চলবে ৷ তৃণমূল অনুব্রত কন্যাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না ৷ কিন্তু তিন বছর আগেই তাঁর মা মারা গিয়েছেন, বাবা জেলবন্দি, সুকন্যা তাঁদের একমাত্র সন্তান ৷ এই অবস্থায় তাঁকে গ্রেফতারির প্রয়োজনীয়তা কী ছিল সেই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ৷
উল্লেখ্য, তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগে সুকন্যা মণ্ডলকে এদিন গ্রেফতার করে ইডি ৷ অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গত বছর অগস্ট মাসে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ তারপর এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হয় ইডিও ৷ ইডির মামলাতেই বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ তদন্তকারীদের দাবি, অনুব্রত কন্যার নামেও একাধিক হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মিলেছে ৷ এর আগে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, তাঁর নামে কী সম্পত্তি বা ব্যাংক ব্যালেন্স আছে তা তিনি জানতেন না ৷ এই বিষয়গুলি তিনি দেখতেন না ৷
আরও পড়ুন:তদন্তে অসহযোগিতা, গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে একাধিকবার সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি ৷ এর আগে তিনবার ইডি নোটিশ পাঠিয়েছিল সুকন্যাকে ৷ কিন্তু তিনি বোলপুর ছেড়ে দিল্লি যাননি ৷ পরে তাঁকে ফের নোটিশ পাঠানো হয় ৷ বুধবার তিনি দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দেন ৷ কিন্তু তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ইডি আধিকারিকরা ৷ তাই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷