কলকাতা, 19 এপ্রিল: ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ অমিত শাহকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন করা নিয়ে যে অভিযোগ শুভেন্দু করেছিলেন, সেটাকে ‘ডাহা মিথ্যে’ বলে দাবি করেছেন কুণাল ৷
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের তকমা বাতিল করে দেয় ৷ সেই তকমা ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার এমনই দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে হইচই পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ বুধবার এই নিয়ে টুইট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ তিনি লেখেন, ‘‘শাহকে দিদির ফোন ! ডাহা মিথ্যে ।’’ এর পর তিনি নাম না করে নিশানা করেন শুভেন্দুকে ৷ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির গুড বুকে থাকতে, গ্রেফতারি বাঁচাতে লাগাতার মিথ্যাচার মেজোখোকার । ওর 100% কথাই এখন ভিত্তিহীন কুৎসায় ভরা ।’’
এর পর কুণালের আরও অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্যই শুভেন্দু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাজনীতিতে অনেক পদ পেয়েছেন ৷ অথচ এখন সেই মমতার বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন শুভেন্দু ৷ এই নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৷ জানিয়েছেন, আইনি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, জাতীয় দলের তকমা পেতে হলে কোনও রাজনৈতিক দলকে তিনটির মধ্যে যেকোনও একটি শর্ত পূরণ করতে হয় ৷ এক, তিনটি রাজ্য থেকে লোকসভার মোট আসনের 2 শতাংশ আসন জিততে হয় ৷ দুই, লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে চারটি বা তার বেশি রাজ্যে 6 শতাংশ ভোট এবং চারটি লোকসভা আসনে জয় ৷ তিন, চারটি রাজ্যে আঞ্চলিক দল হিসেবে স্বীকৃতি থাকতে হবে ৷
এই তিনটি শর্তের কোনোটিই তৃণমূল পূরণ করতে না পারায় জাতীয় দলের তকমা গিয়েছে তাদের ৷ একই সঙ্গে জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া বা সিপিআই ৷ যেদিন নির্বাচন কমিশন ওই ঘোষণা করে, সেদিনই জানানো হয় যে আম আদমি পার্টি এবার জাতীয় পার্টির তকমা পাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন:মায়াবী শিল্পী মুকুল রায়, অন্তর্ধান প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কুণাল ঘোষের