কলকাতা, 6 জুলাই : প্রয়াত মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি ৷ আজ ভোরে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে ৷ ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য চেন্নাইয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না ৷ আজ ভোরে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ৷
প্রয়াত মুকুল রায়ের স্ত্রী - কৃষ্ণা রায়
12 মে করোনায় আক্রান্ত হন মুকুল রায় ও স্ত্রী কৃষ্ণা রায় ৷ করোনা মুক্ত হওয়ার পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি ৷ ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছিল ৷ ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য তাঁকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর ৷
12 মে করোনায় আক্রান্ত হন মুকুল রায় ৷ সেইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীও সংক্রমিত হন ৷ প্রথমে মুকুল রায় সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে আইসোলেশনে ছিলেন ৷ পরে তিনি বাড়িতেই ছিলেন ৷ কিন্তু, মুকুল-জায়াকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে ৷ তাঁকে একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল ৷ করোনামুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি ৷ করোনার কারণে ফুসফুসের ক্ষতি হয়ে যায় ৷ চেন্নাই থেকে চিকিৎসকের একটি দল কলকাতায় এসে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের কথা বলে ৷ এরপরে তাঁকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া ৷ সেখানেই একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর ৷
আরও পড়ুন,মুকুল-জায়াকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক, শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা
মুকুল রায়ের স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেইসময় মুকুল রায় বিজেপিতেই ছিলেন ৷ শুভ্রাংশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন ৷ কৃষ্ণা দেবীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যাওয়ার সঙ্গে অনেকেই রাজনৈতিক সমীকরণ খুঁজছিলেন ৷ তারপর থেকেই শুভ্রাংশের গলায় শোনা যাচ্ছিল উল্টো সুর ৷ এর পর পরই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান দিলীপ ঘোষ ৷ মুকুলকে ফোন করে তাঁর স্ত্রীর অবস্থার খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ৷