কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: বড়দিনের রাতে ও বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিট চত্বরকে মোট 12টি জোনে ভাগ করে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে বদ্ধপরিকর লালবাজার । কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বড়দিনের জন্য পার্ক স্ট্রিট চত্বরে কী ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে, তা নিয়ে বৈঠক হয়েছে লালবাজারে । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল । গতবার এবং তার আগের বছর পার্ক স্ট্রিটে ডিউটি করতে গিয়ে পুলিশকে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সেই বিষয়গুলি উঠে আসে ওই বৈঠকে ।
সূত্রের খবর, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পার্ক স্ট্রিট চত্বরে ঢুকতে থাকে লাখ লাখ মানুষ । ফলে সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা । ফলে পুলিশকর্মীদের যাতে ডিউটি করতে কোনও অসুবিধা না হয়, এছাড়াও সাধারণ মানুষ যাতে কোনোরকমের অপ্রীতিকর ঘটনার কবলে না পড়েন, তার জন্যই এবার পার্ক স্ট্রিটে নিরাপত্তা জোরদার করতে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিট চত্বরকে আমরা আপাতত 12টি জোনে ভাগ করে দিয়েছি । প্রত্যেক জোনে দায়িত্বে থাকবেন একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ । অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশের নেতৃত্বে থাকবেন দু’জন করে অফিসার ইনচার্জ এবং একজন অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ এবং তার নিচে থাকবেন সাব ইন্সপেক্টররা । বড়দিনের রাতে ও বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে পুরো নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের একজন অতিরিক্ত নগরপাল পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক ।
পার্ক স্ট্রিট চত্বরে যে সব রেস্তরাঁ এবং হোটেল রয়েছে, সেখানে মাঝেমধ্যেই তল্লাশি অভিযান এর পাশাপাশি বড়দিন উদযাপন করতে বাইরের শহর এবং এমনকী বাইরে দেশ থেকেও বিভিন্ন লোকেরা বিভিন্ন হোটেলে এসে থাকেন । ফলে সেই সব হোটেলে কারা রয়েছেন এবং তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন, তাঁদের সঠিক পরিচয় কী, তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল বিনীত গোয়েল ।
আরও পড়ুন:
- নতুন ওয়েবসাইট আনছে কলকাতা পুলিশের, আপদকালীন পরিস্থিতিতে সাহায্য হবে লালবাজারের
- কয়েক কিলোমিটার দৌড়ে ছিনতাইকারীকে ধরলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট
- দিনরাত মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার গুরুদায়িত্বে স্মাইল ও স্ট্রং