কলকাতা, 24 মে:আগে থানায় জেনারেল ডায়েরি করতে হবে এবং তারপর নির্দিষ্ট রেজিস্টারে নাম উল্লেখ করার পরেই অভিযুক্তকে থানায় ডেকে তদন্ত শুরু করতে পারবে পুলিশ । অন্যথায় সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী আধিকারিক এবং থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে লালবাজার । এই মর্মেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের প্রত্যেকটি থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ পাঠিয়েছে লালবাজার ৷
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, থানায় বিভিন্ন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ডেকে পাঠানো হয় কোনও রকম আইনি কাগজপত্র ছাড়াই ৷ কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ ৷ বছরখানেক আগে উত্তর কলকাতার সিঁথি থানার এক ঘটনা সামনে এসেছিল, যেখানে এক ব্যক্তিকে পারিবারিক ঝামেলার অভিযোগে বিনা নোটিশে থানায় ডাকা হয় এবং থানায় জিজ্ঞাসাবাদে মুহূর্তেই সেই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় । সেই ঘটনার পর অনেকটা মুখ পুড়েছিল কলকাতা পুলিশের ।
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক জানান, ভারতীয় ফৌজদারির কার্যবিধির 41 এ ধারায় যেকোনও অভিযুক্তকে ডেকে পাঠানো এছাড়াও 91 ধারায় নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য থানায় ডাকা যায় ৷ এছাড়াও ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির 175 ধারায় তদন্তের স্বার্থে যে কোনও সাক্ষীকে থানায় ডাকলে সেই ব্যক্তির নাম এবং সংশ্লিষ্ট দিনের তারিখ রেজিস্টারের উল্লেখ করে রাখতে হয় ৷ এবার থেকে কড়াভাবে এই নিয়ম মানতে বলা হয়েছে সব থানাকে এবং তা পাঠাতে হবে স্থানীয় ডেপুটি কমিশনারের অফিসে ।
জানা গিয়েছে, পুলিশ যদি অক্ষরে অক্ষরে এই নিয়ম পালন করে চলে সেক্ষেত্রে থানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বহর কমবে বলেই মনে করছে লালবাজার ৷ তবে এই বিষয়েও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ঘটনায় সাক্ষী হিসেবে নাবালিকা বা কোনও মহিলাকে থানায় ডেকে পাঠানো যাবে না । যদি একান্তই ডেকে পাঠাতে হয় সে ক্ষেত্রে বিশেষ আইনি নিয়ম মেনেই পুলিশকে কাজ করতে হবে ।
আরো পড়ুন: সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা না পড়ায় ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ রাজভবনের