কলকাতা, 6 এপ্রিল: হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে শহরে যাতে কোন অশান্তি ছড়াতে না পারে তার জন্য সক্রিয় লালবাজার। সূত্রের খবর, প্রতিটি শোভাযাত্রার দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার । তাঁর সঙ্গে দুজন সহকারি কমিশনার-সহ সংশ্লিষ্ট থানার ওসি থাকবেন। প্রয়োজন পড়লে পাশের থানার ওসিকেও শোভাযাত্রায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, হনুমান জয়ন্তীর ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে । কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এই ক্যামেরার মাধ্যমে সেই ঘটনার ছবি সরাসরি পৌঁছে যাবে লালবাজারে। হনুমান জয়ন্তী ডিউটিতে সবমিলিয়ে থাকবেন হাজারখানেক পুলিশকর্মী। এছাড়াও প্রতিটি থানা এবং ডিভিশনাল ডিসিদের নিজ নিজ এলাকায় হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়ার্ড কে প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় 80টি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে বলে খবর। এছাড়া দুটি শোভাযাত্রা হাওড়ার দিক থেকে এসে মধ্য কলকাতার বড়বাজার এবং পোস্তা থানা এলাকায় শেষ হবে। অন্য একটি শোভাযাত্রা শুরু হবে উত্তর কলকাতার ভূতনাথ মন্দির থেকে। তাছাড়া শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালের কাছ থেকে শুরু হয়ে আরেকটি শোভাযাত্রা যাবে হরলালকা মন্দির পর্যন্ত। পাশাপাশি বন্দর এলাকা থেকে একটি শোভাযাত্রা বেরিয়ে ব্রম্ভ সমাজ লেন পর্যন্ত যাবে। এই প্রতিটি শোভাযাত্রার দায়িত্বে ডিসি থেকে শুরু করে অন্য পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা থাকবেন।
কয়েকটি জায়গাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি-সহ মোট 50টি বিশেষ জায়গায় অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। লালবাজার সুত্রের খবর প্রয়োজন পড়লে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা আরও বাড়ানো যেতে পারে। সম্প্রতি রামনবমীর মিছিল কে কেন্দ্র করে হাওড়া শিবপুর এবং হুগলির রিষড়ায় সংঘর্ষ হয়। এছাড়া রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গা থেকে উত্তেজনার খবর মিলেছিল। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়ে । এবার যাতে তেমন কিছু না হয় তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা আগাম নিয়ে রাখতে চাইছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন:হনুমান জয়ন্তী নিয়েও অশান্তির আশঙ্কা, নির্দেশ জারি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক