কলকাতা, 13 এপ্রিল : মানা হচ্ছে না লকডাউন । কলকাতার মেটিয়াব্রুজ- রাজাবাগান এলাকায় এমন ছবি বারবার সামনে আসছিল । সক্রিয়তা দেখাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে । এরপরই তৈরি হয় প্ল্যানিং । আর তাতেই আসে সাফল্য । গতকাল রাত পর্যন্ত মোটের উপর গার্ডেনরিচ-মেটিয়াব্রুজে ভিড় কিছুটা হলেও কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় লকডাউন গুরুত্ব পাচ্ছে না । লকডাউন অমান্য করেই রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ । মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব । কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল তেমনটাই । সেই সূত্র ধরে শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের DG-কে । চিঠিতে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বকে না মানার কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় । কলকাতার যেসব জায়গার নাম উল্লেখ করা হয়, সেগুলি হল রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, তপসিয়া, মেটিয়াব্রুজ, গার্ডেনরিচ, একবালপুর এবং মানিকতলা ।
শনিবার সন্ধের ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, কেন্দ্রীয় রিপোর্টের যৌক্তিকতা । জানা গেছে, রাজাবাগান এলাকায় বাইকের দৌরাত্ম্য চলছিলই । সেই সূত্র ধরে পুলিশ মহল্লায় ঢুকে পড়ে । সেখানে দেখা যায় লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । লকডাউনের চিহ্নমাত্র নেই । পুলিশ দেখে প্রথমে অবশ্য যে যার মতো লুকিয়ে পড়ে । দুই একজন যুবক রুখে দাঁড়ায় । তারপরই একে একে বেরিয়ে পড়ে লুকিয়ে থাকা লোকজন । শুরু হয় ইটবৃষ্টি । সেই ঘটনার সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় সাত জনকে ।
তারপর গতকাল সকাল থেকে আরও সক্রিয় হয় পুলিশ । কাচ্চি সড়ক, আকরা ফটক, নাদিয়ালের মতো এলাকায় শুরু হয় নাকা চেকিং । বন্দর এলাকায় নামানো হয় বেশি সংখ্যক পুলিশ । তাতে কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, আগামী দিনে শক্ত হাতে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হবে ।
অন্যদিকে, গতকাল সকাল থেকে রবিবাসরীয় বাজার করতে কলকাতা শহরের নেমে পড়ে বহু মানুষ । তবে পুলিশ বিষয়টির উপর নজর রেখেছিল । বেলা 12 টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় 267 জনকে । সিজ় করা হয় 45 টি গাড়ি এবং বাইক । গতরাত 8 টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সংখ্যা 638 । বাজেয়াপ্ত 107টি গাড়ি এবং বাইক ।