পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Kolkata Police: এফবিআইয়ের 'ওয়ান্টেড'কে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ

ইন্টারপোলের (Interpol) সহযোগিতায় এফবিআই (FBI) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ নেপথ্যের কাহিনি কী ?

Kolkata Police arrest a man to cooperate with FBI via Interpol in a US Senior Citizen Suicide Case
প্রতীকী ছবি ৷

By

Published : Jan 5, 2023, 6:09 PM IST

কলকাতা, 5 জানুয়ারি:এক মার্কিন নাগরিকের আত্মহত্যার ঘটনার (US Senior Citizen Suicide Case) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ ধৃতের নাম সিজন আলি হায়দার ৷ তাঁকে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয় ৷ সূত্রের খবর, ইন্টারপোলের (Interpol) মধ্যস্থতায় এফবিআই (FBI) এবং কলকাতা পুলিশের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা হয় ৷ এবং তারই ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মার্কিন নাগরিক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁর বয়স 91 বছর ৷ সেই ঘটনার তদন্ত করছে এফবিআই ৷ তারা জানতে পারে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কলকাতায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন ৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করতে উদ্যোগী হয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ৷ কিন্তু, এভাবে কলকাতায় এসে একজনকে গ্রেফতার করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ তাই সাহায্য নেওয়া হয় ইন্টারপোলের ৷ ইন্টারপোলই এফবিআইয়ের ওয়ান্টেড লিস্টে থাকা ওই ব্যক্তির তথ্য কলকাতা পুলিশকে দেয় ৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে সিজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও 10 জনের অবশ্য এখনও খোঁজ মেলেনি ৷ তাঁদের হদিশ পেতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে ৷

আরও পড়ুন:ফরাসি শিখবে কলকাতা পুলিশ, স্বাক্ষরিত হল মউ

লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রয়াত মার্কিন নাগরিক একা থাকতেন ৷ ব্য়াংকে প্রায় 8 লক্ষ 60 হাজার মার্কিন ডলার জমা রেখেছিলেন তিনি ৷ ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় 70 লক্ষ টাকা ৷ অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ সাইবার জালিয়াতদের খপ্পড়ে পড়েন ৷ প্রতারকরা 'টেক্সট নাউ' নামে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করে ৷ সাইবার জালিয়াতরা ওই বৃদ্ধকে একটি বিশেষ সফটওয়্যার বিক্রির টোপ দেয় ৷ আর তারপরই বৃদ্ধের অ্য়াকাউন্ট থেকে নিমেষে সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয় ! শেষ বয়সে এসে এমন প্রতারণা সহ্য করতে পারেননি বৃদ্ধ ৷ তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে দাবি করেছে এফবিআই ৷

তদন্তে নামার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর আসে ৷ জানা যায়, সেই নম্বরগুলি কলকাতায় সক্রিয় রয়েছে ৷ এরপরই ইন্টারপোলের সাহায্যে লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা ৷ এরই ভিত্তিতে বুধবার রাতে বেনিয়াপুকুর থানায় এলাকা থেকে সিজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details