কলকাতা, 10 মার্চ : জল, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, এলাকার পরিচ্ছন্নতা। মূলত এসব ইশু নিয়ে স্থানীয় স্তরের ভোট হয়। অর্থাৎ, পঞ্চায়েত বা পৌরভোট। 5 বছরে বিভিন্ন পৌরবোর্ড কেমন কাজ করেছে তার মূল্যায়ন হবে এবার। কারণ, সামনেই পৌরভোট। ভাগ্য নির্ধারণ হবে শতাধিক পৌরবোর্ডের। এমন একটা সময়ে বিভিন্ন বোরো-ওয়ার্ড কেমন কাজ করেছে তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের মতামত নিচ্ছে ETV ভারত। প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিবেদন। আজ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কলকাতা পৌরনিগমের 5 নম্বর বোরো।
মূলত 11টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বোরো পাঁচ। 36, 37, 40, 41, 42, 43,44, 45, 48, 49 এবং 50। এর মধ্যেই পড়ে সূর্য সেন স্ট্রিট, শিয়ালদহ, বড়বাজার, ক্যানিং স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকা । 5 নম্বর বোরোর মূল সমস্যা নিকাশি এবং পানীয় জল । তেমনটাই বলছেন একাংশ স্থানীয়। এলাকার বাসিন্দা গণেশ ধাড়ার মতে, "জলের একটু সমস্যা আছে। এর সমাধান হল ভালো হত। এলাকাটা একটু পরিচ্ছন্ন থাকলেও ভালো হয়।" অপর এক স্থানীয় অভিজিতের কথায়, "48 নম্বর ওয়ার্ডে ফুটপাথ দিয়ে মানুষ হাঁটাচলা করতে পারেন না। ফুটপাথ দখল করে যেসব দোকানপাট রয়েছে বা যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের নিয়ে কাউন্সিলরের চিন্তাভাবনা করা দরকার। জল ঠিকমতো পাওয়া যায় না। অল টাইম জল পাওয়া গেলে ভালো হয়। বিদ্যুতের অনেক অপচয় হচ্ছে । যেখানে যেটা দরকার সেখানে সেটা দিলেই ভালো হয়।"
এখানকার অন্যতম সমস্যা নিকাশি। তা স্বীকার করে নিয়েছেন বোরো চেয়ারম্যান তৃণমূলের অপরাজিতা দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, "বোরো-5 এর মূল সমস্যা খুব বৃষ্টি হলে কোথাও কোথাও একটু জল জমে যায়।" এখানকার কোলে মার্কেট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন এই মার্কেট খুব একটা পরিষ্কার থাকে না। এপ্রসঙ্গে বোরো চেয়ারম্যান বলছেন, "প্রতিদিন সকালে কনজারভেন্সি হয়। দুপুরও 100 দিনের কর্মীরা পরিষ্কার করেন। শিয়ালদা ফ্লাইওভার থেকে ডক্টর অমল রায়চৌধুরি লেন পর্যন্ত প্রায় 24 ঘণ্টায় বাজার বসে। যাঁরা বাজার নিয়ে বসেন, তাঁরা জিনিসপত্র ফেলে যান। হকাররা এমনভাবে বসেন যে পুলিশকে বলেও কাজ হয় না।"
জায়গার অভাবে কমিউনিটি হল এবং একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা যায়নি বলে আক্ষেপ করেছেন বোরো চেয়ারম্যান। তবে তিনি জানান, "স্থানীয় শ্রদ্ধানন্দ পার্কে নতুন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হবে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরেই নতুন একটি কমিউনিটি হল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" আরও বলেন, "বেআইনি নির্মাণ বোরো পাঁচে আটকানো গেছে । উত্তর-মধ্য কলকাতার এই অঞ্চলে প্রচুর পুরানো বাড়ি রয়েছে । রয়েছে বিপজ্জনক বাড়ি। কর্পোরেশন সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করে পুরানো বাড়ি সুন্দরভাবে সংস্কার করে দিতে পারে।"