কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: শহর কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও প্লাস্টিক থেকে দূষণ লাঘব করতে ইতিমধ্যেই কলকাতা কর্পোরেশনের (Kolkata Municipal Corporation) জঞ্জাল সাফাই বিভাগ শহরজুড়ে শুরু করেছে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীরণের কাজ। তৈরি হয়েছে শুধু কম্প্যাক্টার স্টেশন। জঞ্জালের গাড়ি নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে ঘুরছেন পৌর কর্মীরা। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে ফেলার জন্য প্রতি ঘরে ঘরে দেওয়া হয়েছে নীল ও সবুজ বালতি। চলছে সচেতন করার কাজ। এই উদ্যোগের ফলে অনেকটাই স্বচ্ছ হয়েছে মহানগর। তবে জঞ্জাল সাফাই জোর দিলেও আধুনিক সময় ইলেকট্রিক যুগে শহরেই বেড়ে উঠছে আরেক জঞ্জাল। যার পোশাকি নাম ই-ওয়েস্ট। মোবাইল, ঘড়ি, থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা টিভি ফ্রিজ, প্রিন্টার-সহ ইলেকট্রনিক্স জিনিসের জঞ্জাল। আইটি উপদেষ্টা ও মেয়র পরিষদ সদস্য এ নিয়ে জানান, উৎস থেকে এবার ই-ওয়েস্ট সংগ্রহ হবে। তাই প্রতি বরোতে তৈরি হবে ই-ওয়েস্ট কালেকশন সেন্টার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাথি নন্দী চক্রবর্তী।
সচেতনতার অভাবে দেখা যায় মানুষজন এমন অনেক ই-ওয়েস্ট সাধারণ জনজালের সঙ্গেই ফেলছে। পাশাপশি বর্তমান সময় লাফিয়ে বেড়েছে
ইলেকট্রনিক্স গেজেটের ব্যবহার। এই ই-ওয়েস্ট ব্যাবস্থাপনা একমাত্র রয়েছে ধাপায়। তবে শহরে ক্রমবর্ধমান ই-ওয়েস্ট ব্যাবস্থাপনা করত সেই পারিকাঠামো অপ্রতুল। তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে এবার প্রায় উৎস থেকে সংগ্রহ হবে ই-ওয়েস্ট। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে 2010 সালে 2.5 মিলিয়ন টন পরিমাণে ই-ওয়েস্ট উৎপন্ন হত।