কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি:পরিচ্ছন্ন কলকাতা গড়তে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) । তবু একাংশ নাগরিক ও কাউন্সিলরদের অসচেতনতা যেন কলকাতাকে ক্লিন সিটি করতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে । পরিবেশ রক্ষায় উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রকল্প বছরের প্রথম থেকে শুরু হলেও এখনও মাত্র 40 শতাংশ নাগরিকের কাছে পৌঁছনো গিয়েছে নীল ও সবুজ বালতি । তাই কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় হতে ও দ্রুত বাকি থাকা নাগরিকদের হাতে সেই বালতি পৌঁছনো ও জঞ্জাল সংগ্রহের (Solid Waste Management) নির্দেশ দিলেন মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদার ।
জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গেই বেড়েছে বর্জ্য উৎপাদন । তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবটা ঠিক না হওয়াতে ছড়ায় দূষণ। তার প্রভাব পরে নাগরিকদের স্বাস্থ্যে । পরিবেশ আদালতের নির্দেশে ক্রমশ সেই বিষয় সচেতন হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ । চলতি বছরের প্রথম থেকেই শহর জুড়ে শুরু হয়েছে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রকল্প । আগে 27টি ওয়ার্ডে হচ্ছিল এই কাজ । পরে চলতি বছরে শুরুতে শহরের বাকি ওয়ার্ডগুলিতেও শুরু হয় । প্রতি বাড়িতে দুটো করে বালতি দেওয়া হয়েছে একটি নীল ও একটি সবুজ । সবুজে পচনশীল ও নীল বালতিতে অপচনশীল বর্জ্য ফেলতে বলা হয়েছে ।
তবে সেই বালতি এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে শহরের মাত্র 40 শতাংশ নাগরিককে । আবার বহু এলাকায় বালতি দিলেও আলাদা আলাদা করে জঞ্জাল সংগ্রহ শুরু হয়নি । আবার বহু এলাকায় নাগরিকরা নিয়ম মাফিক ময়লা ফেলছেন না । সব মিশিয়ে ফেলছেন । নিয়ম না মানলে বা বালতি পাওয়ার পরেও যথেচ্ছ ময়লা ফেললে কি জরিমানা করা যায় ? পৌরনিগমের মাসিক অধিবেশনে এই প্রশ্ন তোলেন 48 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে । উত্তরে মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল সাফাই বিভাগ) দেবব্রত মজুমদার জানান, শুধু জরিমানা করেই আটকে থাকছে না কর্তৃপক্ষ । নিয়ম না মানলে মিশ্রিত জঞ্জাল সংগ্রহই করা হবে না ।
দেবব্রত মজুমদার বলেন, "যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলা আইনত নিষিদ্ধ । সেক্ষেত্রে পৌর আইন অনুযায়ী, 50 থেকে 5 হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন হতে পারে । ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য কলকাতা পৌরনিগমের তরফে এক হাজার 286 জনকে ফাইন করা হয়েছে ।" পাশাপাশি তিনি জানান, নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন করতে হবে । এক্ষেত্রে মাঠে সক্রিয়ভাবে নামতে হবে কাউন্সিলরদের । মিশ্রিত জঞ্জাল নেওয়া যাবে না, তা নাগরিকদের স্পষ্ট বলতে হবে ৷ আলাদা করে না দিলে জঞ্জাল নেওয়া হবে না । বড় আবাসনে নিজেদের জঞ্জাল আলাদা করার ব্যবস্থাপনা করতে হবে । তারা সাহায্য চাইলে পৌরনিগম টাকার বিনিময়ে সাহায্য করবে ।
আরও পড়ুন:এবার পুজোয় তিলোত্তমার রং বদলে হবে নীল-সবুজ !