পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

সমাজ ব্যবস্থায় পচন ধরেছে, ডাক্তার দম্পতির মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

By

Published : Jan 3, 2020, 8:27 PM IST

ডাক্তার দম্পতির করা মামলায় রায় দিতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মন্তব্য করলেন, সমাজ ব্যবস্থায় পচন ধরেছে ৷ দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সপ্তর্ষির বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷

কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা, 3 জানুয়ারি : পেশায় স্বামী-স্ত্রী দু'জনই ডাক্তার ৷ কিন্তু, তাঁদের বৈবাহিক জীবন যে পর্যায়ে রয়েছে, তা দেখে অবাক কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্তি প্রসাদ ৷ মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, "সমাজ ব্যবস্থায় পচন ধরেছে ৷"

সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় ডাক্তার ৷ কর্মসূত্রে কাতারে ৷ তাঁর স্ত্রী সুনিপা গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা পৌরসভার একজন ডাক্তার ৷ 11 বছর আগে বিয়ে ৷ বর্তমানে একটি ছ'বছরের মেয়ে রয়েছে ৷ সপ্তর্ষি মা ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রথমে থাকতেন হরিদেবপুরের পৈত্রিক বাড়িতে ৷ অভিযোগ, বছর দুই আগে ওই বাড়ি নিজের নামে লিখে দিতে বলেন সুনিপা ৷ আর তাতেই সপ্তর্ষির মায়ের সঙ্গে ঝামেলা বাধে ৷ ঝামেলা এতটাই হয় যে, সুনিপা বেহালায় একটি ফ্ল্যাট কিনে আলাদা থাকা শুরু করেন ৷

2019 সালের এপ্রিল মাসে সপ্তর্ষির মা সুনিপার নামে এই ঝামেলা নিয়ে আলিপুর আদালতে মামলা করেন ৷ তারপরই 31 মে সপ্তর্ষি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মামলা করেন ৷ জুলাই মাসের 10 তারিখে সুনিপা পালটা সপ্তর্ষি ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তবে, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়ে যান ৷

সপ্তর্ষি তাঁর মেয়ের স্কুলেও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, সুনিপা যেন কোনও মতে মেয়েকে অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত করতে না পারে ৷ তবে, বর্তমানে মেয়েটি সুনিপার সঙ্গেই রয়েছে ৷ 31 জুলাই রাতেই বেহালা থানায় অভিযোগ করেন সুনিপা ৷ 1 অগাস্ট সপ্তর্ষির বিরুদ্ধে FIR হয় বেহালা থানায় ৷ অভিযোগে সুনিপা জানান, সপ্তর্ষি তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করেছে ৷ তাঁর সোনার গহনা কেড়ে নিয়েছে ৷ এরপর 27 অগাস্ট এই অভিযোগের সঙ্গে আরও একটি POCSO আইনে অভিযোগ যুক্ত করা হয় ৷ বলা হয়, সপ্তর্ষি তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন 8 নভেম্বর ৷ কিন্তু, সেই জামিন বাতিল হয় ৷ 29 নভেম্বর বেহালা থানার পুলিশ সপ্তর্ষিকে গ্রেপ্তার করে ৷

আলিপুর আদালত প্রথমে 14 দিনের জেল হেপাজত পরে আবার 13 দিনের জেল হেপাজত দেন ৷ সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সপ্তর্ষি ৷ বিচারপতি শিবকান্তি প্রসাদের সিংগল বেঞ্চে মামলার শুনানি হয় ৷ দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে নির্দেশে বিচারপতি জানান, তিনি সপ্তর্ষির বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও ভিত খুঁজে পাচ্ছেন না ৷ তেমন কোনও প্রমাণপত্রও পুলিশ দাখিল করতে পারেনি ৷ তাই সপ্তর্ষির আগাম জামিন মঞ্জুর করে দেন তিনি ৷ সঙ্গে, সমাজ ব্যবস্থায় পচন ধরেছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details