কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর : দুর্গাপুজো দোরগোড়ায় ৷ করোনার (Coronavirus) লালচক্ষু থাকলেও টুকটাক কেনাকাটা (Puja Shopping) সেরে রাখছেন অনেকেই ৷ পুজোর ফ্যাশনে (Puja Fashion) কি করোনা থাবা বসাতে পেরেছে ? নতুন ডিজাইনের পোশাকের চাহিদা কি কমেছে ? নাকি একই আছে ? লোকজনের যাতায়াত কেমন বুটিক এবং বস্ত্রবিপণীগুলিতে ? এই সময়ে দাঁড়িয়ে নিত্যনতুন ডিজাইনের শাড়ি, ড্রেস-এর চাহিদাই বা কেমন ? ডিজাইনার পোশাকের বদলে সাধারণ পোশাকই কি বেশি পছন্দ করছেন ক্রেতারা ? এমনই নানা প্রশ্নের খোঁজে আমরা কথা বলেছি কলকাতার বুটিক এবং বস্ত্রবিপণীগুলির সঙ্গে ৷
এ বিষয়ে এক প্রখ্যাত বুটিকের মালিক মেখলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "করোনা তো পুজোর ফ্যাশনে থাবা বসিয়েছেই, তবে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক মানুষ একেবারে চাইছেন না এমনটাও নয় । আজকাল জ্যাকেট স্টাইলের ব্লাউজ বেশ নজর কাড়ছে । সালোয়ার কামিজের সঙ্গে আজরাখ প্রিন্ট বেশ মনে ধরেছে ক্রেতাদের ।"
আরও পড়ুন :Kangana Ranaut: জাভেদ আখতারের মামলায় হাজিরা না-দিলে কঙ্গনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আরেকটি স্বনামধন্য বুটিকের সর্বময়ী কর্ত্রী সুপ্রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "লোকজন আসছেন । তবে কম । যেহেতু মার্কেটের মধ্যেই আমার দোকান, তাতে লোকজন দোকানেই বেশি আসছেন । অনলাইনে লাইভ করলে দোকানের থেকে বেশি সাড়া পাই না । বরং দোকানে এসেই মানুষ দেখে কিনছেন বেশি । নতুন জিনিসের চাহিদাও আছে । তবে ওই যে বললাম, লোক আসছে কিন্তু কম । তবে যাঁরা আসছেন তাঁরা হাল-ফ্যাশনের পোশাকই চাইছেন । সেই মতো স্টকও রেখেছি । মানুষ শত সমস্যার মাঝেও নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে চান । এতে মনও ভালো থাকে । সাধ্যমতো ভালো পোশাক পরতে সকলেই ভালোবাসেন । তাই মাঝারি দামের নতুন ডিজাইনের পোশাক রেখেছি ৷ বেশি দামি পোশাক কেউ কিনতে চাইছেন না । সে দিকটা মাথায় রেখেই জিনিস রেখেছি ।"