কলকাতা, 13 জুন:একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি… তোমার জন্যে গলির কোণে / ভাবি আমার মুখ দেখাব, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে ।।
রক্তদান শিবিরের বিরাট হোর্ডিং থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ হোর্ডিং ছেয়ে আছে চারদিকে । রয়েছে ম্যাসাজ পার্লার থেকে পাড়ার পুজোর বিজ্ঞাপনও । এখনও এদিক-ওদিক তাকালেই মিলছে কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় লাগানো হোর্ডিং । আর এসব যথেচ্ছভাবে লাগানো আছে ল্যাম্প পোস্ট থেকে শুরু করে সিগন্যাল । পার্কের রেলিং থেকে ডিভাইডারের রেলিং । ফুটপাতের দু'পাশে । ফলে পুরো মহানগরের মুখ চাপা পড়েছে এইসব বিজ্ঞাপনেই । এবার বিজ্ঞাপনী এইসব হোর্ডিং খুলে সাফ করবে কলকাতা কর্পোরেশন। প্রায় এমন 500 বেশি হোর্ডিং খুলে ফেলা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে ।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, এই ধরনের ছোট বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লাগানোর ক্ষেত্রে একটা কশন মানি জমা রাখা হয় । সময়ের পরে হোর্ডিং খুলে ফেললে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয় । এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে হোর্ডিং ব্যানার না-খোলার ফলে সেই কশন মানিও ফেরত দেওয়া হবে না ।
দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে কলকাতা কর্পোরেশনের নয়া বিজ্ঞাপন নীতি । এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি । এদিকে এই ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যাপকভাবে দৃশ্য দূষণ করছে বলেই অভিযোগ পরিবেশ আন্দোলনকারীদের । ফলে দ্রুত এই বিষয় পদক্ষেপ করার দাবি জানান তারা ।
আরও পড়ুন:পার্কিং ফি বাড়িয়েছিলাম কলকাতার লাগামহীন দূষণ রুখতে, পরিবেশ দিবসে আক্ষেপ ফিরহাদের
শহরকে পরিষ্কার রাখার বার্তা বারে বারে দিয়ে চলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে বাস্তবের ছবিটা একেবারেই আলাদা । কোনও আইনের তোয়াক্কা নেই। যথেচ্ছ পড়ে রয়েছে ব্যানার-পোস্টার। আর তা সবথেকে বেশি রাজনৈতিক দলগুলোর। তারপরেই বিভিন্ন ক্লাবের। এই ধরনের বিজ্ঞাপন সরিয়ে দৃশ্য দূষণ কমানো প্রসঙ্গে কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানান, অস্থায়ী বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ের নিয়ম মানছে না। তাই এক্ষেত্রে কশন মানি আর ফেরত দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, "আমরা সেই টাকা ওই সমস্ত হোর্ডিং, ব্যানার খুলতে খরচ হিসেবে ধরব। তবে স্থানীয় ক্লাব বা রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এই ধরনের বিজ্ঞাপনে টাকা জমা নেওয়া হয় না। তাই তাদের উচিত নিজে থেকে খুলে ফেলা। সেটা কেউই আর করে না। জনগণের টাকা খরচ করেও দূষণ ঠেকাতে সেগুলো খুলতে হয় বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মীদের।"