কলকাতা, 25 নভেম্বর: ওবেসিটি অর্থাৎ স্থূলতা। নামটা ছোট শোনালেও গোটা বিশ্ব এই ওবেসিটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। ওবেসিটিতে পিছিয়ে নেই আমাদের ভারতবর্ষ। আগামিকাল অর্থাৎ 26 নভেম্বর বিশ্ব অ্যান্টি ওবেসিটি ডে। এই ওবেসিটি থেকে কীভাবে সাধারণ মানুষ বা আমরা পরিত্রাণ পাচ্ছি না, ঠিক সেইভাবেই ওবেসিটি নিয়ে চিন্তিত কলকাতা তথা রাজ্য পুলিশ।
স্থূলতার জালে ইতিমধ্যেই কুপোকাত রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের একাংশ কর্মী। যদিও ওবেসিটির লক্ষণ বা যার জন্য় সাধারণভাবেই মানুষ স্থূলকায় হয় তা হল-অধিকাংশ সময় নড়াচড়া না-করে বসে থাকা ৷ কম্পিউটারের সামনে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করা ৷
- কিন্তু যেই বিষয়টি সব থেকে চিন্তার সেটি হল-
শহরে যাঁরা আইন শৃঙ্খলের দায়িত্ব পালন করছেন, প্রতিনিয়তই এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন তাঁরা কীভাবে স্থূলকায় হচ্ছেন? এই নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে না-চাইলেও রাজ্যে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য পুলিশে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বা পুলিশ নিয়োগ হয়নি। আর এদিকে প্রায় রোজই কোনও না কোনও পুলিশকর্মী অবসর গ্রহণ করছেন। প্রয়োজনে তুলনায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা দিনের পর দিন কমে আসছে। পুলিশকর্মীদের সংখ্যা কমলেও পাল্লা দিয়ে তাঁদের কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গড়ে চারজন পুলিশকর্মীর কাজ একজনকে দিয়ে করাতে বাধ্য হচ্ছেন পুলিশের উচ্চ মহলের কর্তারা।"
তাঁর কথায়, "আর এর ফলে পুলিশকর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার ওপর খারাপ প্রভাব করছে। শহরের আইনশৃঙ্খলার কর্তব্য পালন করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ডিউটি করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে খাওয়া-দাওয়া হয় না অধিকাংশ পুলিশকর্মীর। এছাড়া রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের অধিকাংশ থানায় যে পুলিশকর্মী সারারাত জেগে কাজ করছেন তিনি তারপরের দিন মর্নিং শিফটে রয়েছেন। আবার এও দেখা যায় পুলিশকর্মীদের ঘুমের এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় স্থির নয়। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে অভুক্ত বা সময়ে খাওয়া-দাওয়া না-করার ফলে তাঁদের মোটাপেট দেখা যাচ্ছে, যা ওবেসিটির অন্যতম একটি কারণ।"