কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: দোতলা বাড়ি, সামনে দোকান ৷ আবার কোথাও কাচের মোড়কে রেস্তোরাঁ ৷ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে এভাবেই একের পর এক কেএমডি-এর জমি দখল করে দোকান, বাড়ি, পানশালা ও রেস্তোরাঁ মাথা তুলেছে ৷ এবার সেই সব দখল হাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ (KMDA will Recovers Encroached Land) ৷ কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (Kolkata Metropolitan Development Authority) সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে এমন প্রায় 50টি’র বেশি জমি জবরদখল মুক্ত করা হবে ৷ এরপর বাকি বেশ কয়েক ধাপে বাকি দখল হওয়া জমিও পুনরুদ্ধার করা হবে ৷
ইএম বাইপাসের দু-পাশে প্রচুর জলাজমি ছাড়াও আছে কেএমডিএ-র জমি ৷ আর সেই জমি ধীরে ধীরে জবরদখল হয়েছে ৷ এমনকি গত বাম আমলে ও বর্তমান শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে এই দখলদারিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বাইপাসের ধারের জমিগুলি জবরদখল হয়েছে ৷ বাইপাসের আশেপাশের এলাকায় কানপাতলে শোনা যায়, শাসকদলের স্থানীয় নেতারা 50 হাজার, 1 লাখ বা 2 লাখ টাকার বিনিময়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দখলদার বসিয়েছে ৷
পরবর্তী সময়ে তারাই সেখানে একতলা বা দোতলা বাড়ি তুলেছে ৷ আবার সময় যত এগিয়েছে পরিবর্তন হয়েছে সেই কর্মকাণ্ডের ৷ এখন উঠছে বহুতল ৷ সেখানে লক্ষ-কোটির মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এক একটি ফ্ল্যাট ৷ গড়ে উঠছে হোটেল, পানশালা ও রেস্তোরাঁ ৷ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাচ্ছে আর্থিক লেনদেন ৷ অবাক হলেও সেটাই সত্যি ৷ কিন্তু, এসব জমির জমির মালিক অর্থাৎ কেএমডিএ একটি টাকাও পাচ্ছে না ৷ উলটে জনবসতি গড়ে ওঠায় সরকারের তহবিল থেকে রাস্তা, জল, আলো-সহ নানা পরিষেবা দিতে হচ্ছে ৷