কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : হাওড়া ও হুগলি জেলায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতায়। পার্শ্ববর্তী দুই জেলায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মিলতেই তৎপর কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এদিন কলকাতা পৌরনিগমের আধিকারিকদের আরও বেশি করে সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কলকাতার বাজারগুলিতে আরও কড়া নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে মুখে মাস্ক পরে থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। 1 সেপ্টেম্বর থেকেই ইতিমধ্যেই কলকাতার বাজার ও ঘিঞ্জি জনবহুল এলাকাগুলিতে অটো করে প্রচার শুরু করেছে কলকাতা পৌরনিগম। দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে 'নো মাস্ক নো এন্ট্রি' স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিন মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, করোনার দুটি ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া হলেও সাবধানতা অবলম্বন করে যেতে হবে। করোনার তৃতীয় ঢেউ অথবা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যে কলকাতায় প্রবেশ করবে না তা কখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন :kolkata metro : সোমবার থেকে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা, বাড়ানো হল শেষ মেট্রোর সময়ও
দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। কলকাতাতেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরনিগম শহরে জোরকদমে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করেছে। এর পাশাপাশি কলকাতা লাগোয়া জেলার মানুষদেরও টিকাকরণ চলছে। কিন্তু করোনার দু‘টি ডোজ নেওয়া থাকলেও মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব ও করোনা বিধি পালন করার জন্য ফের আবেদন জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এর পাশাপাশি এদিন তিনি জানিয়েছেন, শহরের বাসগুলিতেও মাস্ক ছাড়া ওঠা যাবে না। প্রতিটি বাসের গায়ে মাস্ক ছাড়া ওঠা যাবে না বলে স্টিকার লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Garden Librery in Kolkata : অভিনন্দন মন্ত্রীর, নিরাপত্তারক্ষীর উদ্যোগে জগৎ মুখার্জী পার্কে আস্ত গ্রন্থাগার
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল পৌর নির্বাচন না করিয়ে তোলা তুলছে ৷ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কলকাতায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়েছে। পৌর পরিষেবাগুলি স্বাভাবিকভাবে চালনা করার জন্য যেসব রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলর ছিলেন, তাঁদের সকলকেই কো-অর্ডিনেটর করে দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ছাড়া কখনই মানুষের পরিষেবা চলতে পারে না।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘যখন দিলীপ ঘোষ নিজের বাড়িতে করোনার আতঙ্কে বসে ছিলেন, তখন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা রাস্তায় নেমে করোনা পরিস্থিতিতে পরিষেবা দিয়েছেন।’’