কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডেঙ্গি অভিযানে অতীন ঘোষ কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডেঙ্গি অভিযানে গিয়ে মেজাজ হারালেন ডেপুটি-মেয়র অতীন ঘোষ ৷ হাসপাতালে আবর্জনার স্তূপ এবং জমা জল ও তার মধ্যে মশার লার্ভা দেখে মেজাজ হারান তিনি ৷ তাঁর প্রশ্ন, শহরের মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানে কেন কলকাতা পৌরনিগমকে এসে মশার লার্ভা নষ্ট করতে হবে ? কেন কর্তৃপক্ষ নিজেদের দায়িত্বে ডেঙ্গি প্রতিরোধে হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার রাখবে না ?
কলকাতায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ ৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও ভরতি হয়েছেন অনেককে ৷ সম্প্রতি এই হাসপাতালে একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়া এবং স্বাস্থ্য কর্মী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ এমনকি চক্ষু বিভাগের এক চিকিৎসকের প্রাণ গিয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৷ এত কিছুর পরেও, অভিযোগ উঠেছে হুঁশ ফেরেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ৷ হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে নির্মাণ সামগ্রী। সেখানেই খানাখন্দ, জিনিসপত্রের মধ্যে জমা জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা ৷ আর সেই দৃশ্যই হঠাৎই অভিযান চালিয়ে চাক্ষুষ করলেন কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি-মেয়র অতীন ঘোষ ৷ পরিস্থিতি দেখে মেজাজ হারালেন তিনি।
শুক্রবার আচমকাই কলকাতা পৌরনিগমের বাজার বিভাগের আওতাধীন নির্মীয়মাণ বর্ণপরিচয় বাজারে হানা দেন অতীন ৷ এর পরেই কলেজ স্ট্রিটের পাশে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে যান ডেপুটি-মেয়র অতীন ঘোষ ৷ তিনি কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদও ৷ হাসপাতালে ঢুকে পরিস্থিতি নিজে খতিয়ে দেখেন ৷ ঘুরতে ঘুরতে তিনি পৌঁছন পিডব্লিউডি'র সরঞ্জাম রেখে দেওয়া একটি তালাবন্ধ পার্কের কাছে ৷ আধিকারিককে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘‘এই তালা খোলা হয়নি কেন ?’’ উত্তরে তিনি জানান, নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছে ৷ তার পরেও তালা খোলা হয়নি ৷
আরও পড়ুন:'মণ্ডপে থাকা বাঁশে যাতে কোনওভাবেই জল না-জমে', ক্লাবগুলোকে চিঠি কর্পোরেশনের
এই উত্তর শোনার পরে রীতিমতো চটে যান ডেপুটি মেয়র ৷ বলেন, ‘‘নোটিশ পাঠিয়ে দায় সারা গোছের কাজ করেছেন আপনারা ৷ সামনা-সামনি দেখা করে কেন তালা খোলার চেষ্টা করেনি ?’’ যদিও, পরে অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘হাসপাতালের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো ৷ তবে, ছ’টি জায়গা চিহ্নিত করেছি ৷ সেগুলি হাসপাতাল সজাগ থাকলে হতো না ৷ তাঁরা পরিষ্কার করবে বলে জানিয়েছেন ৷ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ এই ক’দিন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ ৷ দক্ষিণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে উত্তরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও পূর্ব কলকাতার ট্যাংরা রেল ইয়ার্ড ৷