কলকাতা, 21 জুলাই:যেমনকথা তেমন কাজ । একুশের সভা শেষ হতেই সভাস্থল পরিষ্কার করতে বিন্দুমাত্র সময় নিল না কলকাতা পৌরনিগম । সভা শেষ হওয়ার তিরিশ মিনিটের মধ্যে সভাস্থল পরিষ্কার করে ফেললেন পৌর কর্মীরা । পৌরনিগমের তরফে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়, একুশের সমাবেশ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই সভাস্থল পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই মতোই হল কাজ। ময়দানে নেমে সাফাই অভিযানে সামিল হলেন পৌর কর্মীরা ।
শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ করে 'টিম কলকাতা কর্পোরেশন'। সভা শেষের আধঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যায় গোটা সভা চত্বর । মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে দ্রুত জঞ্জাল সাফাইয়ে কাজে নামানো হয় মেকানিক্যাল সুইপার, হ্যান্ডকাট মেশিন, ব্যাটারি চালিত গাড়ি । 21 জুলাই সভা চলাকালীন কলকাতা পৌরসভার তরফে টিম তৈরি হয় ৷ যাদের কাজ ছিল, সমাবেশে আসা মানুষদের সাহায্য ও সভা শেষ হতেই সাফাই কাজে নামা ৷
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে গোটা কর্মসূচির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার, মেয়র পারিষদ (উদ্যান ও পার্কিং) দেবাশিস কুমার এবং মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার। প্রত্যেকটি রাস্তায় নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হয়েছিল জঞ্জাল ফেলার বিন ৷ কর্তৃপক্ষের আশ্বাস ছিল, সভা শেষ হলেই জঞ্জাল সাফাই শুরু হয়ে যাবে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শেষ হবে সেই সাফাই অভিযান।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের পরিণাম মারাত্মক, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
সময়ের আগে রাস্তা সাফ হওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক গতিতে আনতে সফল হয় কলকাতা পুলিশ। এই নিয়ে স্বপন সমাদ্দার জানান, সমাবেশ শেষে ভিড় কমতেই শুরু হয় সাফাই অভিযান ৷ শুধু ধর্মতলা নয়, ময়দান, পার্কস্ট্রিট, এজেসি বোস রোড, সহ আশপাশের সব এলাকায় চলে সাফাই অভিযান ৷ আবর্জনা ছোট ব্যাটারি চালিত গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়। বড় বড় ট্রাকে ধাপায় নিয়ে ফেলা হয় সেই আবর্জনা। দ্রুত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য জঞ্জাল সাফাই বিভাগের প্রায় কয়েক হাজার কর্মীকে কাজে লাগানো হয়ছিল। একুশের সভা শেষ হতেই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরিচ্ছন্ন শহরের রাস্তা । যা 'টিমওয়ার্ক' বলেই জানাল কলকাতা পৌরনিগম।