কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর : কবীর সুমনের (Kabir Suman) তীব্র কটাক্ষের কোনও জবাব দিতে চাইলেন না সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)৷ তাঁর প্রতি সুমনের আক্রমণ প্রসঙ্গে কথা তুলতেই সাংবাদিককে থামিয়ে দিলেন তিনি ৷ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি এই নিয়ে কিছু বলতে চান না ৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই ফেসবুকের পাতায় সরব হয়েছিলেন প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী ৷
শনিবার আচমকা তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাংলা তথা দেশের রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেন গায়ক-রাজনীতিক বাবুল সুপ্রিয় ৷ যদিও তাঁর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরাকে ভাল ভাবে নেননি আরেক গায়ক তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন ৷ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি বাবুলের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে লেখেন, "বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রী শ্রীযুক্ত বাবুল সুপ্রিয় কিছু কাল আগে আমায় নিয়ে ফেসবুকে ঠাট্টা করেছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্পর্কে স্থূল ইঙ্গিত-পূর্ণ কথা লিখে । লিখেছিলেন ‘আপনার মমতাময়ী’। আমি তাঁকে কোনও কটূক্তি করিনি । আজ তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সশব্দে । তৃণমূলের বড় বড় নেতা তাঁকে বরণ করে নিয়েছেন । আমি তৃণমূলের সমর্থক । সদস্য নই । তৃণমূল দল কাকে টেনে নেবেন, সেটা একান্তই তাঁদের ব্যাপার । শুধু, ‘আপনার মমতাময়ী’ বলে গায়ে পড়ে বিদ্রুপ করা এই মুসলিমবিদ্বেষী, এনআরসি পন্থী, বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষী বাবুল সুপ্রিয় মহোদয় এখন ‘তাঁর মমতাময়ী’ সম্পর্কে কী ভাবছেন, তৃণমূলে তাঁর কাছের মানুষরা হয়ত জানতে চাইছেন ।"
আরও পড়ুন:Babul Supriya : প্রথম একাদশে খেলতে চেয়েই দলবদল বাবুলের
যদিও কবীর সুমনের এই কথায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি বাবুল সুপ্রিয় ৷ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আজ তৃণমূল ভবন থেকে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর নিজের বক্তব্যের পর শুরু হয় সাংবাদিকদের প্রশ্ন ৷ আর সবার প্রথমেই তাঁর দিকে ধেয়ে আসে কবীর সুমনের মন্তব্য সংক্রান্ত প্রশ্নবাণ ৷ যদিও সাংবাদিককে প্রশ্নটি শেষও করতে দেননি বাবুল ৷ কবীর সুমনের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি সাংবাদিককে থামিয়ে দিয়ে বলেন, "আমি তোমাকে থামাচ্ছি ৷ সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই নেতিবাচক দিক এনো না ৷ একটা ইতিবাচক দিক দিয়ে শুরু হোক ৷ কবীর সুমন তাঁর নিজের মন্তব্য করতেই পারেন ৷ আমি এই সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করব না ৷ ফেসবুক একটা পাবলিক প্ল্যাটফর্ম ৷ তিনি তাঁর খুশিমতো যা কিছু লিখতে পারেন ৷ ফেসবুক, টুইটার আমার মোবাইলে নেই ৷ কাজেই কী লিখছেন, কেন লিখছেন, আমি সেটা পড়বও না ৷ জবাবও দেব না ৷ আগামী কয়েকদিনে ইতিবাচক দিকটাকে গুরুত্ব দিলেই সবার ভাল হবে ৷"