কলকাতা, 10 জানুয়ারি: ক্রমেই জটিল হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সকালে বিচারপ্রতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের একাংশ। যত বেলা গড়িয়েছে আইনজীবীদের একাংশ অন্য আইনজীবীদের বিচারপতি মান্থার এজলাসের ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। শুধু মঙ্গলবার নয়, সোমবারও বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট হওয়ায় প্রায় 400টি মামলার বিচার প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। এদিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay shares his thought on Judicial system in WB) ৷
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের বিচারব্যবস্থাকে স্বতন্ত্র করার চেষ্টা হচ্ছে ৷ কোনও একটা অংশ বিচারক ও বিচারপতিদের স্বতন্ত্র করে নিজেদের পথে আনতে চাইছেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় গতকাল জানিয়েছেন, আমাদের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয় যে তাকে চাইলেই স্বতন্ত্র করা যায় ৷ এটা কখনোই সম্ভব নয়, যারা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন। আমি কোনও দলের হয়ে বলছি না। ইতিমধ্যেই শাসক শিবির বলেছে তারা একাজ করেননি। যারা করেছেন তাদেরকে চেনেন। সেটা তদন্তসাপেক্ষ।"
এখানেই শেষ নয় ৷ দুবৃত্তদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "আমি হাইকোর্টে 23 বছর আইনজীবী হিসেবে ছিলাম, পাঁচ বছর ধরে বিচারপতি ৷ এরকম হাইকোর্টে আগে দেখিনি ৷ এত সাহস কোন দুর্বৃত্তদের, তা খুঁজে বের করতে হবে।" এদিকে এজলাসে ঢুকে বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷ ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে এই মামলা পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে।