কলকাতা, 1 মে: ডিগ্রি পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকার সত্ত্বেও 2022-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না এরকমই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন 50 জন প্রার্থী। বিএড ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ ৷ সেই মামলাতেই এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ডিগ্রি পরিবর্তনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ৷
সোমবার চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, প্রত্যেক প্রার্থীর বিএড ডিগ্রি রয়েছে। তারপর তারা ডিএলএড ডিগ্রিও নিয়েছিলেন 2020-22 শিক্ষাবর্ষে। প্রার্থীরা প্রত্যেকেই 2014 সালের টেট উত্তীর্ণ বলেও জানা গিয়েছে ৷ গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যখন পরীক্ষা নেয় সেই সময় বলা হয়েছিল, ডিএলএড পাঠরতরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের ওই সিদ্ধান্ত খারিজ হয়। ফলে চলতি বর্ষে শিক্ষক নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না প্রার্থীরা।
যদিও প্রার্থীদের প্রত্যেকের বিএড ডিগ্রি ছিল বলেই দাবি করা হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে তাঁদের দাবি, বিএড ডিগ্রি প্রাপ্তরা যোগ্য বলেই বিবেচিত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ডিগ্রি পরিবর্তনের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাকারীদের বক্তব্য শুনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে পোর্টাল খোলারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কারণ এই রকম আরও প্রার্থী নিশ্চয় রয়েছে তাঁরা যাতে অভিযোগ জানাতে পারে সেকারণেই এই নির্দেশ।
আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সিট, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এদিন আদালতে শুনানির সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এই আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। কারণ হিসাবে তাদের ব্যাখ্য়া ছিল, অত্যন্ত আধুনিক সফটওয়্যারে এখন ডিগ্রি পরিবর্তন করতে গেলে অনেক সমস্যা হবে। যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের বক্তব্যে আমল দেননি। একই সঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন এই মামলার চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত এই আবেদনকারীরা যাঁরা ডিগ্রি পরিবর্তন করছেন তাদের ফল প্রকাশ করবে না পর্ষদ। পাশাপাশি যাঁরা একই সমস্যায় পড়বেন তাঁদের সকলের জন্য একই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়।