কাজে অপ্রাসঙ্গিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি যাদপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কাজে 'আভ্যন্তরীণ বাধা'র সম্মুখীন হচ্ছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ৷ রাজভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইটিভি ভারতকে এমনটাই জানালেন তিনি ৷ অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কথায়, "অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে তাঁর কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ পরিস্থিতি শোধরানোর কাজটাকে আরও জটিল করে দেওয়া হচ্ছে ৷" কিন্তু, কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তাঁর ? কোন ধরনের চাপ তৈরি করা হচ্ছে তাঁর উপর ? তা খোলসা করলেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ৷
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৷ গতমাসের 9 তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং ব়্যাগিং ইস্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্যের শিক্ষা থেকে রাজনৈতিকমহল ৷ এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবি ওঠে ৷ এমনকী কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে রাজ্যপালকে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় ৷ এরপরেই রাজ্যপাল অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন ৷
কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গুরুদায়িত্ব তিনি নিয়েছেন, তা পালন করতে পারছেন? রাজভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আপনারা সংবাদমাধ্যম, আপনারাই ভালো বলতে পারবেন ৷ আমার তো মনে হচ্ছে, আগের থেকে অনেকটাই পরিস্থিতির বদল হয়েছে ৷’’ কিন্তু, এরপরেই আসল পরিস্থিতির কথা বেরিয়ে আসে তাঁর কথায় ৷ অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে তাঁকে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ যা তিনি মনে করেন অপ্রাসঙ্গিক ৷
আরও পড়ুন:ইউজিসির পর যাদবপুরে ইসরো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ভাবনা
অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী বাধা তৈরি হচ্ছে ৷ আমার মনে হয় সেই ইস্যুগুলি অপ্রাসঙ্গিক বর্তমান পরিস্থিতিতে ৷ আর সেগুলিকে সামনে এনে আসল কাজে বাধা তৈরি করা হচ্ছে ৷ এটা পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা ৷ তার মধ্যেই আমি সব স্বাভাবিক করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি ৷ আশা করি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে ৷" কিন্তু, এই আভ্যন্তরীণ বাধার ধরন কীরকম? প্রশাসনিক নাকি, রাজনৈতিক; নাকি অন্য কিছু ? যার জবাব উপাচার্য এড়িয়ে গেলেন এই বলে যে, "সংবাদমাধ্যম তাঁর মুখে নিজেদের কথা বসাতে চাইছে ৷"