কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি : বরাবরই শিক্ষা জগতের সঙ্গে তাঁর অবাধ বিচরণ । একটিবারের জন্য তাঁর পাঠ নিতে মুখিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে হাজার হাজার কলেজ পড়ুয়াকে । তবে রাজনৈতিক পরিবারের গৃহবধূ হলেও রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন । কিন্তু, 1996 সালে প্রথমবার যাদবপুরের মতো কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েই সব হিসেব নিকেশ পালটে দিলেন । প্রথমবারই CPI(M)-এর মালিনী ভট্টাচার্যকে হারিয়ে লোকসভায় প্রবেশ । রাজনীতিতে তাঁর এই উত্থানকে নিজের বইতেই তুলে ধরেছিলেন । আজ 89 বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর পথ চলা । প্রয়াত হলেন কৃষ্ণা বসু । সম্পর্কে যিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় দাদার পুত্রবধূ । তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসুর মা কৃষ্ণা বসুও দুই বার ঘাসফুলের টিকিটেই লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন ।
অনেকদিন ধরেই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন । তারপর গত রাত 10 টা 20 মিনিটে কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ।
1930 সালের 26 ডিসেম্বর ঢাকায় জন্ম কৃষ্ণা বসুর । তাঁর বাবা সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন । পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অন্যতম সচিবও ছিলেন । 1955 সালের 9 ডিসেম্বর শিশিরকুমার বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণা বসুর । সেই সূত্রেই নেতাজির পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগ । আসলে শিশিরকুমার বসু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেজ দাদা শরৎচন্দ্র বসুর ছেলে ।
কলকাতার সিটি কলেজে 40 বছর অধ্যাপনা করেন । সেখানে ইংরাজি বিভাগের প্রধান ছিলেন কৃষ্ণা বসু । পাশাপাশি আট বছর অধ্যক্ষ ছিলেন ওই কলেজে । "অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স", "এমিলি অ্যান্ড সুভাষ", "লস্ট অ্যাড্রেসেস", "চরণরেখা তব", "প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র", "ইতিহাসের সন্ধানে"-র মতো বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ।