কলকাতা, 12 জানুয়ারি: উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে মাটি ধসে একের পর এক বাড়িতে ধরছে ফাটল । তাই যেসব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলিকে ভেঙে ফেলার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ড সরকার একাধিক বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ । জোশীমঠের বিপর্যয় চিন্তায় ফেলেছে এই রাজ্যের পর্বতারোহীদের (Joshimath incident creates problem for mountaineers ) ।
উত্তরাখণ্ডের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় রয়েছে: এই গুলিতে নিয়মিত পর্বতারোহীরা ট্রেক করে থাকেন সেগুলি জোশীমঠ হয়ে যেতে হয় । তাই যতদিন ওখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হয় ততদিন আর জোশীমঠ থেকে ট্রেকিং শুরু করা সম্ভব নয় । ট্রেকিং ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট । মাউন্ট কামেট, চাঙাবাং কালাঙ্কা পিক, বাগিনি গ্লেসিয়ার, তপোবন কুয়ারি পাস বা মালারি টেট্রাক করতে গেলে জোশীমঠ দিয়েই যেতে হয় । এই পাহাড়গুলিতে ট্রেক করতে গেলে পর্বতারোহীরা সাধারণত জোশীমঠকেই বেশ ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করেন ।
জোশীমঠ হয়ে যাওয়ার সুবিধা:ট্রেকিং শুরু করার আগে মূলত আরোহীরা জোশীমঠ শহর এবং বাজারে দু-একদিন কাটায় ৷ সেখান থেকে ট্রেকিংয়ের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাওয়ার দাওয়ার সংগ্রহ করে তবেই তাঁরা গন্তব্যের জন্য যাত্রা শুরু করেন । তাই এই দুটি জায়গাই ট্রেকারদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তবে বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে পর্বতারোহীরা তাদের ট্রেকিং বাতিল করেছেন বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় পরের বছর ওই দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন ।
পর্বতারোহীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ: পর্বতারোহনে অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, "এই বছর আমরা পরিকল্পনা ছিল জোশীমঠ হয়ে বাগিনী গ্লেসিয়ারের আগে দ্রোনাগিরি সামিট করব । কিন্তু সেই পরিকল্পনা আপাতত বাতিল করতে হল । জোশীমঠ আমার কাছে একটা নস্টালজিক জায়গা ৷ কারণ আমি আমার জীবনের প্রথম ট্র্যাকিং ওইখান থেকেই শুরু করেছিলাম । তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এই বছর আর আদৌ হয়তো ওইদিকে যাওয়া যাবে না । ইতিমধ্যেই আমি ওদিকে যাবো পরিকল্পনা করে যাবতীয় প্রস্তুতিও শুরু করেছিলাম । স্বাভাবিকভাবেই এটা পর্বতারোহীদের কাছে একটা বিরাট ধাক্কা ।"