কলকাতা, 22 জুলাই : আগে স্লিপার সেলের জন্য পশ্চিমবঙ্গে সদস্য বৃদ্ধিই ছিল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য থেকে একটু সরে এসেছে বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জেএমবি। এখন আর স্লিপার সেলের জন্য যতসম্ভব নতুন সদস্য সংগ্রহ মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং বাছাই করা হাতেগোনা কিছু সদস্যকে নির্বাচন করে বিস্ফোরক বানানোর বেশি জোর দিচ্ছে নব্য জেএমবির সদস্যরা। অনলাইনের মাধ্যমে বিস্ফোরক তৈরির শিক্ষা দেওয়া হত কলকাতা থেকে ধৃত জেএমবির সদস্যদের ৷ পারিপার্শ্বিক তথ্যর উপর ভিত্তি করে এই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা।
কলকাতার হরিদেবপুর থেকে ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের কি অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হত? তদন্তে নেমে এই প্রশ্নই উঠে এসেছে। কারণ এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃতদের অনলাইনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বাংলাদেশের নব্য জেএমবি-র একাধিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। তাছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক ফোন নম্বর এবং একাধিক নব্য জেএমবির জঙ্গি নেতার নাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন :কলকাতায় জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়তেই উত্তরবঙ্গে নজরদারি বাড়াল পুলিশ
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স-এর পাশাপাশি এই ঘটনার সমান্তরাল তদন্ত করছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের গোয়েন্দাদের সঙ্গে এনআইএর গোয়েন্দারা কথা বলে জানতে পেরেছেন, অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে বসে থেকে নব্য জেএমবির বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতা বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে গোটা দেশজুড়ে।