কলকাতা, 18 অগস্ট: যাদবপুর কাণ্ডে ফের ইউজিসিকে রিপোর্ট পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো তথ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল ইউসিজি ৷ ফলে শুক্রবার ফের 35টি ডকুমেন্ট পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মৃত ছাত্র হোস্টেলের আবাসিক না-থাকায় সে ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।
আরও জানানো হয়েছে, বাংলা বিভাগে ভর্তির সময় পরিচয় পর্বে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়েছিল। পাশাপশি, কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল যদি কোনও অবস্থায় ছাত্রকে ব়্যাগিংয়ের মুখে পড়তে হয় তবে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ৷ সে জন্য ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছিল। এই রিপোর্ট পাঠানোর পর ইউজিসি কী উত্তর দেয় তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল ইউজিসি। মোট 12টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল। চাপের মুখে পড়ে একের পর এক বৈঠক ডাকা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এর আগেও ইউজিসিকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সে কারণে শুক্রবার তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে তলব করা হয় মেস কমিটির সদস্যদের। ঘটনার সময় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেককেই এদিন ডাকা হয় বৈঠকে। ডাকা হয় প্রথম বর্ষের কয়েকজন পড়ুয়াকেও ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি সূত্রে খবর, ঘটনার সময় ঘরে 15 জনেরও বেশি আবাসিক ছিলেন ৷ যার মধ্যে 10 জন প্রাক্তনী।
আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার আরও 3, ধৃত বেড়ে 12
অন্যদিকে, তদন্তে উঠে এসেছে, বুধবার এই ঘটনা ঘটার 30 মিনিট আগে ওই পড়ুয়াকে দেখা গিয়েছিল ধৃত সৌরভ চৌধুরীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেমিস্ট্রি পাস আউট শেখ নাসিম আখতার, ম্যাথ পাস আউট হিমাংশু কর্মকার এবং কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সত্যব্রত রায় নামে তিন জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির বক্তব্য, সৌরভ চৌধুরী-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।