কলকাতা, 16 ডিসেম্বর: অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে মিলল রাজ্য সরকারের অনুমতি। রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়েই আগামী 18 ডিসেম্বর কর্মসমিতির বৈঠক ডাকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। আগামী সোমবার সকাল 10টার সময় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হল। যে বৈঠকের প্রধান বিষয় থাকবে আগামী 24 তারিখের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
এর আগে একাধিকবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছিল। তবে তাতে অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তবে এর পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিন নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। কারণ, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য হল পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়া। এই শংসাপত্র দিতে প্রয়োজন হয় কর্মসমিতি ও কোর্ট বৈঠকের। তবে উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমতি না-থাকায় সম্পূর্ণ হচ্ছিল না সেই বৈঠক। অন্যদিকে, ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল রাজ্যপালের তরফ থেকেও।
আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফ থেকেও কোনও বৈঠক করার মেলেনি অনুমতি। তাই সমস্যায় ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সেই সমস্যার এবার অবসান ঘটল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শিক্ষা দফতরের থেকে অনুমতি আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই অনুমতি আসার পরেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। যেখানে সই আছে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর। সেই বিজ্ঞপ্তিতেই উল্লেখ করা হয়েছে এই কর্মসমিতির বৈঠকের। তার সঙ্গে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হল আগামী 24 ডিসেম্বরেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
উল্লেখ্য, স্থায়ী উপাচার্যের অভাবে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বন্ধ হয়ে রয়েছে কয়েক বছর ধরে। বেশির ভাগ জায়গাতেই এখনও কোর্ট, কর্মসমিতি গঠন হয়নি। কোর্টের মিটিং ছাড়া, সমাবর্তন সম্ভব নয়। উচ্চ শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, স্থায়ী উপাচার্য ছাড়া এই ধরনের কমিটির বৈঠকের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:
- সমাবর্তনের দিন ঘিরে অনিশ্চিয়তা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, কাটল না জট
- যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক ঘিরে বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্রাত্যর
- 12 ঘণ্টার কর্মসমিতির বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র, অসুস্থ উপাচার্য