কলকাতা, 24 অগস্ট:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে বর্তমানে একাধিক অভিযোগ । বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শুধুই শোনা যাচ্ছে নেতিবাচক মন্তব্য । তবে এই বিতর্কের মাঝেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক । নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সম্মান আবারও প্রমাণ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । চন্দ্রযান 3-এর সাফল্যের সঙ্গে সরাসরি ভাবে যুক্ত না থাকলেও এই জয়ের অংশীদার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত এবং ইলেকট্রনিক্স ও টেলি কমিউনিকেশনের অধ্যাপক সায়ন চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় বসেই চাঁদের মাটিতে পৌঁছনোর দৌড়ে শামিল হলেন । চন্দ্রযান 2 ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে শুরু হয় তৃতীয় অভিযানের প্রজেক্ট । 2019 সাল থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নতুন এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হয় । লকডাউনের সময় থেকেই শুরু হয়েছিল কাজ । দুজন অধ্যাপক ছাড়াও এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন স্নাতক স্তরের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ।
সায়ন চট্টোপাধ্যায় জানান, "লকডাউনের মধ্যেই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে শুরু করি এই কাজ । ইসরোর পক্ষ থেকে যেহেতু কোনও ল্যান্ডার আমাদের দেওয়া হয়নি, তাই বিষয়টা একটু অসুবিধার ছিল । আমরা নিজেদের মত করে একটা ল্যান্ডার বানিয়ে হার্ডওয়্যার বানিয়েছি । তাতে অমিতাভবাবু এক রকমের মডেল বানিয়েছিলেন । তবে আমরা জানি না আমাদের প্রজেক্টটাই ওরা নিয়েছে কি না ।" আর অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্তের কথায়, "চন্দ্রযান 3-এর সাফল্য বিরাট ৷ আমরা নিমিত্তমাত্র ৷"