কলকাতা, 13 জুলাই : লকডাউনের সময় থেকেই ফুটপাতের হোটেলগুলি সব বন্ধ হয়ে গেছে। মুটে, মজুর, ঠেলাওয়ালা, রিকশাওয়ালারা চরম বিপাকে পড়েছেন। আর্থিক সংকট সীমাহীন মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায়, যাদবপুর এলাকার বহু মানুষকে অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হচ্ছিল । এই অবস্থায় CPI(M)নেতৃত্ব ঠিক করে, এলাকার অভুক্ত মানুষের জন্য তারা বিনা পয়সার খাবার দেবে। চলল কয়েকদিন বিনে পয়সায় খাবার দেওয়ার কাজ। ভালো সাড়া পড়ে গেল যাদবপুর এলাকায়। নেতৃত্ব লক্ষ্য করল, খাবারের অপচয় হচ্ছে। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, সামান্য পয়সার বিনিময়ে খাবারের প্যাকেট দেওয়া হবে ক্ষুধার্ত মানুষকে। ফুড প্যাকেটের দাম করা হল মাত্র 20 টাকা।
100 দিন পার করল যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন
100 দিন অতিক্রান্ত যাদবপুরের কমিউনিটি কিচেনের । এই বিশেষ দিনে বিমান বসু বলেন, সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । রাজ্য সরকার গরিব মানুষের কথা ভাবছে না । সেজন্য বিরোধী দলকে ভাবতে হচ্ছে তাদের কথা ।
যাদবপুর সহ এলাকার বহু মানুষ মাত্র 20 টাকার বিনিময় দু'রকমের সবজি, ডাল এবং মাছ-সহ পেট ভরে ভাত খাওয়ার জন্য বড়সড় খাবারের প্যাকেট পেলেন । যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু হল তখন থেকেই। সেই রান্না ঘরের 100 দিন পূর্ণ হল । শততম দিনে আজ শ্রমজীবী ক্যান্টিনের খাবার এলাকার মানুষের হাতে তুলে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, CPI(M) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম, বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী, সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য ও সংস্কৃতি জগতের লোকেরা।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন,"সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারের অধিকার রয়েছে সকলের। রাজ্যের শাসকদল অর্ধাহারে অনাহারে থাকা লোকেদের কথা ভাবেনি। রাজ্যের বিরোধী দলকেই ভাবতে হচ্ছে অনাহারে থাকা মানুষগুলোর কথা। আজ 100 দিনে প্রায় সাড়ে 700-রও বেশি মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে একইভাবে মানুষের সেবা করা হবে।"