কলকাতা, 11 জানুয়ারি: কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববির একটি হোটেলে বুধবার আচমকাই আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা হানা দেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা চলে তল্লাশি অভিযান (IT Raid in Kolkata Municipality's Councilor's Hotel)। এই বিষয়ে মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববিকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার এজেসি বসু রোডের উপর ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তাঁর হোটেল। এদিন আচমকাই সেই হোটেলে আয়কর বিভাগের একটি দল হানা দেয়। তল্লাশি চলতে থাকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ৷ হোটেলের বিদ্যুৎ বিলের একটি প্রতিলিপি-সহ আমিরুদ্দিন ববির নাম লেখা বেশ কিছু কাগজপত্র আধিকারিকরা সঙ্গে করে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে, আমিরুদ্দিন ববির রিপন স্ট্রিট চত্ত্বরে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। তবে সেগুলোর সবকটি মালিক আদৌ তিনি নাকি, যৌথ মালিকানা রয়েছে সেবিষয়ে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন আয়কর কর্তারা।
আমিরুদ্দিন ববি কলকাতা কর্পোরেশনের 54 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এছাড়াও তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের বাজার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ। ফলে তাঁর হোটেলে আয়কর হানা নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ শানিয়েছে। কলকাতায় যখন কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদের হোটেলে অভিযান চলছে ঠিক তেমনই মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বিড়ির কারখানাতেও হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের কর্তারা।
আরও পড়ুন:তৃণমূল বিধায়কের কারখানায় আয়কর দফতরের হানা
এছাড়াও, এদিন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বেশ কয়েকটি বিড়ির কারখানায় ও রাইস মিলে কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালানো বলেই খবর আয়কর দফতর সূত্রে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গরু ও কয়লা পাচারের মত ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিচিতদের একাধিক রাইস মিলে সিবিআই হানা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুই তৃণমূল নেতা আয়কর হানার মুখে পড়ায় রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, চাপের মুখে পড়তে পারে রাজ্যের শাসকদল। তবে এদিন আমিরুদ্দিন ববির কী কী জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেবিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি আয়কর দফতরের তরফে।