কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : উত্তর 24 পরগনার খড়দার একটি সরকারি বিদ্যালয় থেকে যখন প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু অবসর গ্রহণ করেন তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেববাবু ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও ইরাদেবীর পেনশনের সুরাহা হয়নি । লুম্বিনী হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার খড়দার বাড়িতে এসে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই কথাই সংবাদমাধ্যমকে জানালেন ইরা দেবী ।
তবে সেই সঙ্গে তিনি এও জানালেন যে, এর জন্য বুদ্ধদেববাবু এবং তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের (যিনি সম্পর্কে ইরাদেবীর নিজের বোন) প্রতি কোনও ক্ষোভ বা অভিমান নেই । আমি ওদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি । ওরা আমার অতি কাছের মানুষ ৷
কিন্তু এখন তিনি আশা করছেন যে অতি শীঘ্রই তাঁর পেনশনের সমস্যা মিটে যাবে ৷ কারণ আশ্বাস এসেছে খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং লোকসভার সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে । তিনি বলেন, "অভিষেকের লোকেরা হাসপাতালে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে আমার পেনশন সমস্যার সুরাহা হবে ।"
আরও পড়ুন :Ira Bose : ইরার আচরণ পরিবারের সকলকে অসম্মানিত করেছে, প্রতিক্রিয়া মীরা ভট্টাচার্যর
খড়দার বাড়িতে ফিরে ইরা বসু এদিন বলেন, "কেন রাস্তায় থাকি, তা ব্যক্তিগত বিষয় ৷ দরকারে আবার থাকব । আমার উপর অত্যাচার চলেছে, প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে তার জন্যই সল্টলেকের বাড়িতে থাকতে পারি না । আত্মসম্মান আছে ৷ খেতে পাব না, তাও বলব না ।"
খড়দায় প্রায় সকলেই চিনতেন উসকো খুসকো চেহারার এক বৃদ্ধাকে । রাস্তায় দিন কাটালেও কারও কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য নেননি তিনি । তাঁর পরিচয় মিলতেই বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই । জানা গিয়েছিল, তিনি প্রাক্তন মু্খ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা । অর্থাৎ মীরাদেবীর বোন । এছাড়াও বেশ বড়সড় পরিচয় রয়েছে তাঁর । খড়দহ প্রিয়নাথ স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি । সল্টলেকে তাঁর বাড়িও রয়েছে ।
তাঁর এই পরিণতি জানার পরই সরকারের তরফে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । বেশ কয়েকদিন সেখানেই চলে চিকিৎসা । বর্তমানে সম্পূ্র্ণ সুস্থ তিনি । বৃহস্পতিবারই ফিরেছেন খড়দার বাড়িতে । বাড়ি ফিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন তিনি । মমতা সরকারের আমলে পেনশন না পাওয়ায় সামান্য ক্ষোভ থাকলেও গত কয়েকদিনে রাজ্যের সহযোগিতায় আপ্লুত ইরাদেবী ।
আরও পড়ুন :Arpita Ghosh : জাতীয়স্তরের কোনও নেতাকে রাজ্যসভায় পাঠাতেই কি পদত্যাগ অর্পিতার ?