কলকাতা, 23 মে: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটের অনুঘটক হতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমোর মুখে এই কথা বারবার শোনা গিয়েছে ৷ তিনি নিজেও কখনও দিল্লি, কখনও মুম্বই, কখনও চেন্নাইয়ে ছুটে গিয়েছেন বিরোধীদের বিজেপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ করার লক্ষ্যে ৷ কিন্তু গত দু’মাসে বরং এর উলটো ছবিই ধরা পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে ৷ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতারা বরং নিজেই এসেছেন মমতার কাছে ৷ কখনও বৈঠক হয়েছে কালীঘাটে, তো কখনও নবান্নে ৷
ঠিক যেমন আজ মঙ্গলবার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয়ে ৷ এ দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ দিল্লি সরকারের ক্ষমতা খর্ব করতে কেন্দ্রের মোদি সরকার যে অর্ডিন্যান্স এনেছে, সেই নিয়ে মমতার সমর্থন পেতে নবান্নে হাজির হয়েছিলেন তিনি ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা ৷
তাৎপর্যপূর্ণভাবে 2023 সালের 17 মার্চ থেকে 23 মে, মাত্র 68 দিনে দেশের বিজেপি বিরোধী 10 জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এর মধ্যে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছে ন’জনের সঙ্গে ৷ আর একজনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর ৷ যে ন‘জনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন ৷
গত 17 মার্চ কালীঘাটে মমতার বাসভবনে আসেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ৷ সেখানেই দু’জনের বৈঠক হয় ৷ এর পরই ওড়িশা যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ পুরীর মন্দিরে পুজো দেন ৷ সেই সময় 23 মার্চ ভুবনেশ্বরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয় ৷ পরদিন 24 মার্চ কালীঘাটে মমতার বাসভবনে সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী ৷