কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: সদ্য নির্বাচিত বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরেও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ! ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রাথী নির্মলচন্দ্র রায় শপথ অনুষ্ঠান এড়ালেন । শনিবার বিকেল সাড়ে 4টে-তে রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে সূত্রের দাবি । কিন্তু, নির্ধারিত সময়ে রাজভবনের ডাকে শপথ অনুষ্ঠানে এলেন না ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল রায় । রাজভবন থেকে ফোনে নির্মল রায়কে শপথ অনুঠানে হাজির থাকার কথা বলা হয়েছিল । কিন্তু, তিনি না আসায় ফের একবার রাজ্য সরকার ও রাজবনের সংঘাত বাড়ল বলেই অভিজ্ঞমহল মনে করছে ।
এর আগে রাজ্য সরকার নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু সে বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বেঁকে বসেন বলে সূত্রের দাবি । এক্ষেত্রে অনুষ্ঠান করতে গেলে রাজ্যপালের অনুমতি নিতে হবে । তার জন্য পরিষদীয় মন্ত্রীকে রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখতে হবে । সে অনুযায়ী শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় ।
রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন । কিন্তু পরিষদীয় মন্ত্রীর চিঠি লেখার পরে আজ রাজভবনে রাজ্যপাল শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন । যদিও ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘রাজভবন থেকে আমার কাছে কোনও ফোন আসেনি । তাই শপথগ্রহণ সম্পর্কেও কিছু জানি না ।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, শপথ না হওয়ায় বিভিন্ন সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না । এর জেরে সমস্যায় পড়ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ ।
এর আগে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় 2021 সালের বিধানসভার ভোটের পরে কোচবিহারের দিনহাটা-সহ যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আয়োজিত হয়, সেখানকার নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে বেঁকে বসেছিলেন । বিধানসভার অধ্যক্ষকে বাদ দিয়ে ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি ।
শাসক শিবির সেই বিষয়টিকে অধ্যক্ষের অপমান হিসেবেই দেখেছিল । সেই সময় তৎকালীন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের শরণাপন্ন হন । এবারও জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে । এবার কীভাবে সমস্যার সমাধান হয়, সেটাই দেখার ৷