কলকাতা, 29 জুলাই: সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'র বিরুদ্ধে ইডির পেশ করা চার্জশিটে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রভাবশালী সাংসদের নাম রয়েছে। চার্জশিটের 75 নম্বর পাতায় তাঁর নাম রাখা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত বা সাক্ষী হিসেবে ওই সাংসদের নাম রাখা হয়নি। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে তাঁর কোম্পানির একটি সম্পর্ক ছিল তা বোঝানোর জন্যই তৃণমূলের ওই শীর্ষস্থানীয় নেতার নাম রাখা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে আরও খবর, এই প্রভাবশালী সাংসদের বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। প্রায় 20 কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গ্রেফতারির পর তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালিয়ে তদন্তকারীরা যে তথ্য পেয়েছেন তাও চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পৌরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা, অয়নের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি
সংশ্লিষ্ট চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, 'কালীঘাটের কাকু'র সঙ্গে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল। ওই সাংসদের থেকে পাওযা তথ্য সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের কানে পৌঁছে দেওয়া ছিল 'কাকুর' কাজ ছিল বলে চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। গ্রেফতারির আগে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সাংসদকে 'নিজের সাহেব' বলে অভিহিত করেছিলেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "আমার সাহেবকে আমি চিনি"। এরপর সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি।
এরপর সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর স্ত্রী মারা যান। ফলে তিনি 16 দিনের প্যারোলে মুক্তি পান। 16 দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আনা হয়। সে সময় তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। জানা গিয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হার্টে তিনটি ব্লকেজ রয়েছে। ফলে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে উপর ভরসা না-রেখে দক্ষিণ ভারত কিংবা এই শহরেরই বাছাই করা তিনটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করতে চান। পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝতে ইডির তরফে হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:একাধিক পৌরসভা নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল অয়ন শীলের হাত ধরেই, দাবি সিবিআই'য়ের