হাওড়া, 17 অগাস্ট : 32 বছরের সংগ্রাম ভট্টাচার্য । বাড়ি ভাটপাড়া ৷ পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ । তাই কোরোনা অবহেও নিজের পেশাগত কারণে বেরোতে হয়েছিল তাঁকে । 14 অগাস্ট শুক্রবার বাড়ি ফেরার সময় কল্যাণীতে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন । চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভরতি করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে । গতকাল সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর । সংগ্রামের শেষ ইচ্ছা ছিল, মৃত্যুর পরেও যেন সে অন্য কারও মধ্যে বেঁচে থাকে । সেই ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে তাঁর পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
পূর্বভারতে প্রথম, 18-র কম বয়সির শরীরে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হবে হাওড়ায় - SSKM হাসপাতাল
সংগ্রামের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হবে হাওড়ার নারায়ণ হাসপাতালে । সেখানে 17 বছরের এক কিশোরী হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে । তার শরীরেই সংগ্রামের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হবে ৷
সংগ্রামের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হবে হাওড়ার নারায়ণ হাসপাতালে । সেখানে 17 বছরের এক কিশোরী হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে । তার শরীরেই প্রতিস্থাপন হবে ৷ পূর্বভারতে প্রথমবার 18 বছর বয়সের নীচে কারও শরীরে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হতে চলেছে ৷ সেই মতো অ্যাপোলো থেকে গ্রিন করিডর করে হাওড়া নারায়ণ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়া আসা হয় সংগ্রাম ভট্টাচার্যের হৃদযন্ত্র । সন্ধে 6টা নাগাদ গ্রিন করিডোর করে হাসপাতালে এসে পৌঁছায় সংগ্রামের হৃদযন্ত্র ।
সংগ্রামের একটি কিডনি ও ত্বক যাবে SSKM হাসপাতালে । অপর একটি কিডনি ও যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হবে অ্যাপোলো হাসপাতালেই । কর্নিয়া যাবে দিশা চক্ষু হাসপাতালে । তাঁর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য তৈরি করা হবে দুটি গ্রিন করিডর । সেই পথ ধরেই তার অঙ্গগুলো পৌঁছে যাবে অন্য হাসপাতালে ৷ নিজের মৃত শরীরের অঙ্গদানের মাধ্যমে সংগ্রাম বেঁচে থাকবে অনেক জনের মধ্যে । এভাবেই নিজের সংগ্রাম নামটি সার্থক করে গেল সে ৷