কলকাতা, 27 জুন: আষাঢ় তার নিজস্ব ছন্দে ৷ রাজ্য বর্ষা কবলিত ৷ বৃষ্টি এলেও দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত গরমের অস্বস্তি দূর হচ্ছে না ৷ কারণ, বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি ৷ সোমবার সারাদিন জুড়েই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে ৷ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে গরমের ঊর্ধ্বমুখী গতিতে রাশ পড়েছে ৷ জেলায় যেমন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে ৷ কলকাতাতেও মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে ৷
আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে ৷ উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে ৷ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি ছিল, তা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ৷ এটি ক্রমশ সরে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের উপর অবস্থান করছে ৷ এর প্রভাবে মেঘলা আকাশ ও মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হচ্ছে ৷ আগামিকালও সমুদ্র উত্তাল থাকবে ৷ তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের উপর আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে ৷
বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে ৷ বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমবে ৷ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে এবং জলীয় বাষ্প থাকায় ঘর্মাক্ত গরমের অস্বস্তি শুরু হবে ৷ চলতি সপ্তাহের শেষে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমে যাবে ৷ গত কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কম হলেও আগামিকাল বুধবার থেকে আবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে ৷ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে উপরের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ৷ তবে আলিপুরদুয়ারের কোচবিহারে তুলনামূলকভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি ৷
আরও পড়ুন: আধ্যাত্মিকতার দিকে মন মেষের, কী আছে আপনার ভাগ্যে ?
সোমবার কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 29.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি কম ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 26.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক ৷ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ 98 শতাংশ ৷ গত চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ 17.9 মিলিমিটার ৷ আজ মঙ্গলবার দিনের আকাশ মেঘলাই থাকবে ৷ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 29 ডিগ্রি এবং 26 ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে ৷