কলকাতা, 12 জুলাই : বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকেছিল 6 মাস আগে । ফের ফেরত যাচ্ছিল বাংলাদেশে । মানব পাচারচক্রের পাণ্ডাকে 18 হাজার টাকা দিয়ে অন্য এক মহিলা দালালের হাত ধরে ঘোজাডাঙা সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল । কিন্তু তার আগেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের তৎপরতায় ধরা পড়ল বাংলাদেশি যুবতি এবং এক শিশু কন্যা । যাকে ওই যুবতি নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছে । গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহিলা দালালকেও । মানব পাচারচক্রের ওই পাণ্ডার খোঁজ চালাচ্ছে বসিরহাট থানার পুলিশ ।
ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে বহু যুবতিকে পাচার করে এ দেশে আনা হয় । তালিকায় রয়েছে কিশোরীরাও । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন এমনই তথ্য । এই বছরেই এখনও পর্যন্ত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স 10 জন মহিলাকে উদ্ধার করেছে । সেই তালিকায় যোগ হল আরও একটি নাম । যদিও এই মহিলা দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কি না সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবতি জানিয়েছে, বাংলাদেশের চারুলিয়া সাতক্ষীরার পাট কালীঘাটের বাসিন্দা সে । তার সঙ্গে ছিল দু'বছরের এক মেয়ে । যাকে ওই যুবতি নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছে । 6 মাস আগে বাংলাদেশি এক দালালকে 13 হাজার টাকা দিয়ে বেআইনিভাবে উত্তর 24 পরগনা সীমান্ত দিয়ে এদেশে সে ঢোকে। তারপর সে চলে যায় গোবরডাঙা । যেখানে তার আত্মীয় পবন দাস থাকে । পবন দাস ভারতে 2014 সাল থেকে রয়েছে । যদিও ওই যুবতি ঠিক বলছে কিনা তা এখনও যাচাই করে উঠতে পারেনি সীমান্তরক্ষী বাহিনী ।
যুবতি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আরও জানিয়েছে, তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য 18 হাজার টাকা নিরঞ্জন নামে বসিরহাটের এক মানব পাচার চক্রের পাণ্ডাকে দিয়েছে । নিরঞ্জনের বাড়ি বসিরহাটের কোলাপোড়া গ্রামে । নিরঞ্জন ওই টাকা নেওয়ার পর ওই যুবতির কাছে পাঠায় এক মহিলাকে । 43 বছরের মহিলা বসিরহাটের ইটিন্ডার বাসিন্দা । তার হাত ধরেই যুবতি বাংলাদেশ যাচ্ছিল । দালাল মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ।
মহিলা জানিয়েছে, তাকে 1000 টাকার বিনিময়ে এই কাজ করতে বলেছিল নিরঞ্জন । প্রাথমিকভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের মনে হয়েছে ওই যুবতি সব সত্যি বলছে না । তিনজনকেই বসিরহাট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।