পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

জঙ্গি টার্গেটে বাংলার রাজনৈতিক নেতারা, সতর্কবার্তা IB-র

আল-কায়েদার টার্গেট এখন বাংলার কয়েকজন রাজনীতিবিদ । IB থেকে এমনই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে খবর .

Terror attack on Bengal politicians
প্রতীকী ছবি

By

Published : Nov 13, 2020, 4:44 PM IST

কলকাতা, 13 নভেম্বর: সলতে পাকাচ্ছে জঙ্গিরা । বাংলায় বড়সড় নাশকতার ছক । আল-কায়েদার টার্গেট এখন বাংলার কয়েকজন রাজনীতিবিদ । আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগেই এই রাজ‍্যে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা । সূত্রের খবর, এমন সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে IB ।

গত সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং কেরালার এর্নাকুলাম থেকে 9 আল-কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে NIA । গোয়েন্দারা রাতভর অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় । তাদের মধ্যে 6 জন মুর্শিদাবাদের । এই জঙ্গি মডিউলের ভারতে হামলার পরিকল্পনা ছিল । মূলত রাজধানী দিল্লিতে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে জানতে পেরেছিল NIA । তার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিতে দায়ের হয় মামলা (RC case no-31/2020/NIA/DLI) । সেই মামলার সূত্র ধরেই আবদুল মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর ।

ডোমকল থেকে জলঙ্গি । ওদের কেও ইঞ্জিনিয়রিং পড়ুয়া, কেউ আবার পরিযায়ী শ্রমিক । গত সেপ্টেম্বরে মুর্শিদাবাদের ছ'টি জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছয় জনকে । এ বিষয়ে NIA-র কাছে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট ছিল । তার পরিপ্রেক্ষিতে 11 সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে NIA । তারপর থেকেই গোয়েন্দারা বিভিন্ন সূত্র মারফত খবরা-খবর নেওয়া শুরু করেন । সেই সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদ থেকে নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল, আতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা ।

নাজমুস সাকিবের বাড়ি ডোমকলে । ডোমকলের বসন্তপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে । জলঙ্গীর ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা আতিউর রহমানও কলেজ পড়ুয়া । সে নদিয়ার করিমপুরে নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র । এই দু'জনের বাড়ি থেকেই মোবাইল, ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ ও বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল গোয়েন্দারা । জলঙ্গীর মধুবনা গ্রামের বাসিন্দা মইনুল । সে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক । কাজ করতেন কেরালায় । শৌচাগার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা । মইনুলের মতই মামুনও পরিযায়ী শ্রমিক । ডোমকলের রায়পুর- নাড্ডাপাড়ায় বাড়ি মামুনের । সে বেঙ্গালুরুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করত । অবশ্য বছর দুয়েক আগে বাড়ি ফিরে আস সে । তারপর থেকে কখনও গাড়ি চালাত, কখনও আবার রাজমিস্ত্রির কাজ করত । আবু সুফিয়ানের বাড়িও ডোমকলেই । সে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে দিল্লিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছে । তবে সম্প্রতি বাড়ি ফিরে একটি লেদ কারখানা তৈরি করেছে বাড়িতে । ধৃতরা প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট চ্যাট গ্রুপের মেম্বার বলে জানিয়েছে NIA । সেই চ্যাট গ্রুপের নাম ছিল গাজওয়াতুল হিন্দ ।

এই জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে পাকিস্তানের করাচি এবং পেশোয়ারে দু'টি নিয়োগ কেন্দ্র খুলেছে আল-কায়দা । সেখান থেকেই চালানো হচ্ছে পুরো ছক । বাংলার যুবক-যুবতিদের দাওয়াতের মাধ্যমে তারাই নিয়োগ করছে । চলছে মগজ ধোলাই । 5 নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইন্টেলিজেন্স ব‍িওরো । এই নাশকতায় বাংলা থেকে নিয়োগ হওয়া যুবক-যুবতিদের কাজে লাগানো হতে পারে বলে জানা গেছে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details