কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি : সরকারি স্কিম রয়েছে যে সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের আক্রমণে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তার পরিবারকে এককালীন ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়। সেই জন্যে ক্ষতিপূরণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুন্দরবন এলাকার এক মহিলা। তাঁর স্বামী বাঘের আক্রমণে মারা গেছেন।
বাঘের আক্রমণে মৃত স্বামী, ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে মহিলা - hc
সরকারি স্কিম রয়েছে যে সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের আক্রমণে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তার পরিবারকে এককালীন ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়। সেই জন্যে ক্ষতিপূরণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুন্দরবন এলাকার এক মহিলা।
মামলাকারী পুষ্প মণ্ডলের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "পুষ্প মণ্ডলের স্বামী মতিন্দ্র মণ্ডল ২০১৭ সালের ৬ জুন রায়মঙ্গল নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মারা যান। আইন অনুযায়ী সুন্দরবন বাফার জ়োনে যদি কেউ বাঘের হামলায় মারা যায় তাহলে তার নিকট আত্নীয়রা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। পুষ্প মণ্ডল এই সরকারি স্কিমের ব্যাপারে ২০১৮ সালে জানতে পারেন। এরপর তিনি ২২ অক্টোবর ২০১৮-তে BDO গোসাবা, SDO ক্যানিং ও DM-কে চিঠি পাঠান। যাতে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ তিনি পান। কারণ তাঁর একটি ৯ বছরের ছেলে রয়েছে। কিন্ত কোনও প্রশাসনিক তৎপরতা দেখতে পাননি। শেষে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে মামলা করেছেন। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হতে পারে।"
প্রসঙ্গত, গোটা সুন্দরবন অঞ্চলকে প্রশাসন দুই ভাগে ভাগ করে। একটি কোর এরিয়া। আরেকটি বাফারজ়োন। কোর এরিয়াতে লোকজনের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ। অপরদিকে বাফারজ়োনে মাছধরা, মধু সংগ্রহ করে সেখানকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। আইনজীবী বলেন,"সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের আক্রমণে বহুলোকই মারা যায়। সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীর কাছেই একটি পাড়া রয়েছে বিধবাপাড়া বলে। এদের স্বামীরা বাঘের হামলাতেই মারা গিয়েছেন। তাই আমার মক্কেলের দাবি তাঁর প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি প্রশাসন যাতে এই ব্যাপারে একটু নজর দেন।"