কলকাতা, 16 নভেম্বর: 'প্রটেক্ট দ্য আনপ্রোটেকটেড' শীর্ষক শিরোনামে বিনামূল্যে এইচপিভি টেস্ট শুরু হল সোনাগাছিতে । হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) সাধারণত যৌনসঙ্গম বা এক ত্বক থেকে অন্য ত্বকে যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রামিত হয় । তা রুখতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সোনাগাছি-সহ কলকাতার তিনটি যৌনপল্লিতে যৌনকর্মীদের এইচপিভি টেস্ট করছে একটি বেসরকারি সংস্থা । এদিকে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে বিনামূল্যে যৌনকর্মীদের এই টেস্ট করাতে পেরে খুশি 'দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি'। তাদের বক্তব্য, আগামিদিনে ধারাবাহিকভাবে রাজ্যের প্রতিটি যৌনকর্মীর এইচপিভি টেস্ট করানো হবে ।
ওই বেসরকারি সংস্থার চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যে 130 জনের টেস্ট করা হয়েছে । তাঁদের অনেকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে । এতে চিন্তার বা ভয়ের কোনও কারণ নেই । চিকিৎসক জাভেদ আখতার বলেন, "ধারাবাহিক চিকিৎসার ফলে এই সংক্রমণ রোখা যায় । রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে মানেই এই মুহূর্তে যৌনসঙ্গম বন্ধ রাখতে হবে এমনটাও নয় । কিন্তু, চিকিৎসা না হলে 15 বা 20 বছরের মধ্যে ওই যৌনকর্মী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায় । তাই টেস্ট করানোর পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । শুধু যৌনকর্মীরা নয়, 5 থেকে 14 বছর বয়সি সব মেয়েদেরই এই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত । সমস্ত মহিলাদের এইচপিভি টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত ।"
তিনি আরও জানান, সাধারণত পুরুষদের থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মহিলাদের মধ্যে ঘটে থাকে । তাই 14 বছরের পর থেকে যে কোনও মহিলার এইচপিভি টেস্ট করানো উচিত । কিন্তু খরচ সাপেক্ষ হওয়ায় অনেকেই এই বিষয়টা অনেকে এড়িয়ে যান । তা না-করে গাইনোকলজিস্টের থেকে পরামর্শ নিয়ে এই টেস্ট করানো উচিত ।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সম্পাদিকা বিশাখা লস্করের কথায়, "বহু চেষ্টার পর যৌনকর্মীদের এই টেস্ট করাতে পেরে আমরা খুশি । আগামিদিনে এইচআইভি-সহ আরও যে যে টেস্ট আমরা করে থাকি তার সঙ্গে এইচপিভিও টেস্ট বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করছি । এই মুহূর্তে পাঁচ হাজার জনগণের এই টেস্ট করানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে । আগামীতে গোটা রাজ্যের যৌনকর্মীদের এই টেস্ট করানো হবে ।"